Advertisment

কাবুল বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩, হামলার নেপথ্যে আইএস, দাবি আমেরিকার

আমেরিকা সময়, সুযোগ ও জায়গা বেছে নিয়ে এই সন্ত্রাসবাদী হামলার যোগ্য জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
It was a tragic mistake, says United States on Kabul drone strike

কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল। বিমানবন্দর চত্বরে একাধিক বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ৭৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিহতদের মধ্যে ৬০ জন আফগান নাগরিক থাকার পাশাপাশি ১৩ জন মার্কিন সেনা রয়েছেন। আহত আরও বেশ কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে একাধিক বিস্ফোরণের জেরে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধারকাজ আরও বেশি জটিল হয়ে পড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Advertisment

আমেরিকা-সহ বিশ্বের একাধিক দেশের গোয়েন্দাদের আশঙ্কা সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাতে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। পরপর বিস্ফোরণে স্থানীয় ৬০ আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ও তালিবান রক্ষীরা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তালিবানের তরফে এই বিস্ফোরণের নিন্দা করা হয়েছে। তালিবানের তরফে বলা হয়েছে, এই বিস্ফোরণ যেখানে হয়েছে সেই এলাকার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আমেরিকান সেনার হাতে।

কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আগেই করেছিল আমেরিকা। বিশ্বের একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থাও কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে হামলার আশঙ্কা করেছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সেই আশঙ্কা সত্যি করে বিমানবন্দরে চত্বরে পরপর বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। সেই বিস্ফোরণে আফগান নাগরিকদের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে বেশ কযেকজন আমেরিকান সেনার। কাবুলে এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছে আইএস জঙ্গি সংগঠন, এমনই মনে করে আমেরিকা।

আরও পড়ুন- ঘণ্টা বাজিয়ে রোগী দেখেন ডাক্তারবাবু, অবাক-কাণ্ড আরামবাগে

জঙ্গিদের পাল্টা জবাব দিতে ফুঁসছে আমেরিকাও। বৃহস্পতিবার রাতেই এব্যাপারে কড়া ইঙ্গিত মিলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলাতেও। জো বাইডেন বলেন, ‘‘আইএস সন্ত্রাসবাদীরা জিতবে না। আমেরিকা সময়, জায়গা নির্দিষ্ট করে এই হামলার যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আমরা আমাদের মিশন চালিয়ে যাব। আফগানিস্তান থেকে আমাদের নাগরিক ও আমাদের বন্ধু আফগান নাগরিকদের উদ্ধারকাজ বন্ধ হবে না।”

গত কুড়ি বছর ধরে আফগানিস্তানে ছিল মার্কিন সেনা। তবে আমেরিকা সেনা সরাতেই মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গোটা আফগান মুলুক দখলে নিয়েছে তালিবান। তালিবানের পাশাপাশি আফগানিস্তানে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। এমনকী পাক মদতপুষ্ট লস্কর-এ-তইবা, জইশ-এ-মহম্মদের মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তানে আরও বেশি সক্রিয় হচ্ছে।

Read full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন  টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Kabul Blast Taliban Afganistan
Advertisment