দুদিন আগেই রণহুঙ্কার ছেড়ে ঘোষণা করেন, আসরাফ ঘানির অনুপস্থিতিতে তিনিই দেশের কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের ডেপুটি আমরুল্লা সালেহ-ই এখন আশা-ভরসা নিরীহ আফগানদের। তালিবানদের প্রত্যাঘাত করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের ৯৫ শতাংশ এলাকা তালিবানদের দখলে গেলেও উত্তরের কিছু এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। উত্তরের যোদ্ধারা বিনা যুদ্ধে সূচগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ। যাঁদের নেতৃত্বে এই আমরুল্লা।
কে এই আমরুল্লা সালেহ
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী তাজিকদের নেতা হলেন আমরুল্লা সালেহ। মঙ্গলবার তিনি টুইট করে হুঁশিয়ারি দেন, ঘানির অনুপস্থিতিতে তিনিই দেশের কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট। ঘানির ডেপুটি হলেও শরীরে তাজিক রক্ত এই নেতার এত সহজে হাল ছাড়তে রাজি নন। ঘানির মতো পালাবেনও না জানিয়ে দিয়েছেন। উত্তরের পাঞ্জশিরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তাজিক নেতা আহমেদ মাসুদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তিনি।
আহমেদ মাসুদের বাবা শাহ মাসুদ কুড়ি বছর আগে তালিবান বিরোধী উত্তরের জোটের নেতা ছিলেন। সাংবাদিকের ছদ্মবেশে আল-কায়দার মানববোমায় নিহত হন তিনি। তখন থেকেই প্রতিশোধস্পৃহা জ্বলজ্বল করছে আহমেদ মাসুদের মধ্যে। অন্যদিকে, তালিবান বিরোধী তাজিক নেতা সালেহ হলেন ঘানির তিন ডেপুটি প্রেসিডেন্টের একজন। তিনি ছাড়াও উজবেক গোষ্ঠীর রশিদ দোস্তাম এবং হাজারা গোষ্ঠীর সারওয়ার দানিশ আরও দুই ডেপুটি।
আরও পড়ুন নাজিবুল্লার মতো মরতে চাননি, তাই হয়তো পালিয়ে বাঁচলেন ঘানি!
সূত্রের খবর, তালিবানরা কাবুলের দখল নিতেই উজবেকিস্তানে পালিয়েছেন দোস্তাম। দানিশেরও কোনও পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তালিবানদের যোগ্য জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছেন সালেহ। তালিবানরা দেশের দক্ষিণ-মধ্য-সহ একাধিক এলাকার দখল নেওয়ায় তাজিক-উজবেক, হাজারা-তুর্ক গোষ্ঠীর সেনা ও যোদ্ধারা উত্তরে পালিয়েছেন। তাঁদেরই সংঘবদ্ধ করে তালিবানদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন সালেহ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন