Kabul Update: দিন কয়েক শান্ত থাকার পর ফের বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তান। কাবুলের সবচেয়ে বড় সেনা হাসপাতালের বাইরে মঙ্গলবার এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। শুনতে পাওয়া গিয়েছে গুলির শব্দও। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসন। সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী বলেছেন, ‘৪০০ শয্যা বিশিষ্ট ওই হাসপাতালের প্রবেশ দরকার সামনে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। এখনও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।'
এই ঘটনার পর একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে বিস্ফোরণস্থল থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখা গিয়েছে। এই নাশকতার পিছনে আইএস জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে। এমনটাই দাবি সরকারি এক প্রচার মাধ্যমের। তাদের দাবি, হাসপাতালে ঢুকে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আইএস আশ্রিত একাধিক সন্ত্রাসবাদী। তারপরেই এই বিস্ফোরণ এবং গুলির আওয়াজ। যদিও সরকারি ভাবে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী এই নাশকতার দায় স্বীকার করেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রাথমিক ভাবে বিস্ফোরণ এবং গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে। প্রথম বিস্ফোরণের ১০ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে যখন ক্ষমতার হস্তান্তর চলছে, সেই সময় বিস্ফোরণে রক্তপাত দেখেছিল কাবুল। ইউএস এবং তার সহযোগী দেশগুলোর কাছে সতর্কবার্তা ছিল জঙ্গি নাশকতার। সেই মোতাবেক সম্ভাব্য জঙ্গি হামলায় প্রাণহানি এড়াতে মার্কিনসহ অন্য দেশের নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করা হয়েছিল। সেই সতর্কবার্তার মধ্যেই গত সেপ্টেম্বরে ভারতীয় সময় সন্ধ্যার পর পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর চত্বর।
বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণে নিহত ১৩, আহত একাধিক। সেই সময় জানা গিয়েছিল, নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। তালিবান বাহিনীর সদস্যরা জখম হয়েছিলেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয়েছিল।
দেশ ছাড়ার হিড়িকে যখন দলে দলে আফগানরা কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছিলেন, তখন ঘটেছে এই বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণের জেরে মার্কিন উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরাও আহত হয়েছিলেন। পেন্টাগনের একটি সূত্রে উদ্ধৃত করে সেই সময় এমনটাই জানিয়েছিল একটি সংবাদ মাধ্যম। তবে বিস্ফোরণের ফলে ব্রিটিশ নাগরিক কিংবা উদ্ধারকারী বাহিনীর এখনও হতাহতের খবর ছিল না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন