Advertisment

একদিনে সেনার গুলিতে ৫০ জন প্রতিবাদী খুন, ভয়াবহ পরিস্থিতি মায়ানমারে

সেনা অভ্যুত্থানের পর শনিবার সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত হল মায়ানমার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সেনা অভ্যুত্থানের পর শনিবার সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত হল মায়ানমার। ওই দেশের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন সেনার গুলিতে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে সাগায়েং শহরে এবং ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানী ইয়াঙ্গনে। এদিকে, মায়ানমারের সেনা বার্ষিক সেনা দিবস পালন করে বিরোধীদের কটাক্ষ করেছে। পাশাপাশি দেশে নির্বাচনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Advertisment

দেশজুড়ে মৃত্যুমিছিল, তবুও কোনও হেলদোল নেই সেনাবাহিনীর। উল্টে জেনারেল মিন আং হ্ল্যাং একটি সরকারি চ্যানেলে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী গোটা দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চায়। নাওপিদাওয়ে সেনা কুচকাওয়াজের পরই এই কথা বলেন জেনারেল। যদিও সামরিক শাসনের প্রতিবাদ করায় দেশে এত লোকের মৃত্যু হচ্ছে, তার মধ্যেও সেনাবাহিনী কুচকাওয়াজ করে শক্তি প্রদর্শন করায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলেকজান্ডার ফমিন এই কুচকাওয়াজে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবারই তিনি শীর্ষ সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে সেনা অভ্যুত্থানকে সমর্থন জানান। এই প্রসঙ্গে জেনারেল মিন জানান, রাশিয়া প্রকৃত বন্ধু মায়ানমারের। তবে অন্য কোনও দেশের অতিথি এই কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন না।

এদিকে, সেনা আধিকারিকরা দাবি করেছেন, পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি ও বেআইনি কার্যকলাপের জন্যই নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শনিবার জেনারেল মিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, শীঘ্রই দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে। তবে কোনও তারিখ উল্লেখ করেননি তিনি। তবে প্রতিবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন জেনারেল। অতীতের গণহত্যার কথা উল্লেখ করে প্রতিবাদীদের মাথায় গুলি করে শান্ত করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

myanmar
Advertisment