ইউক্রেনে যুদ্ধের বলি হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৯০২ জন সাধারণ নাগরিক। যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় একমাস হতে চলল। প্রতিদিনই অসংখ্য লোকের মৃত্যু হয়েছে ইউক্রেনে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘ জানাল নিহত সাধারণ নাগরিকের সংখ্যা কমপক্ষে ৯০২ জন। আহত ১,৪৫৯ জন।
রাশিয়া এই যুদ্ধে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ব্যবহার করছে। প্রতিদিন ইউক্রেনের বুকে আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। আছড়ে পড়ছে বিমান থেকে ছোড়া গোলা। ছুটে আসছে ঝাঁকেঝাঁকে গুলিও। আর, এরফলেই অসংখ্য সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হচ্ছে রাজধানী কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে।
বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বহু জায়গায় আহতদের অনেকে মারাও গিয়েছেন। শুধুমাত্র একটা স্কুলেই ৪০০ জন ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছেন। এই স্কুলবাড়িতে যুদ্ধের ফলে ঘরহারা মানুষজন আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু, যেখানে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেই বাড়িতেই আছড়ে পরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। গোটা বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তার তলায় চাপা পড়েন ৪০০ জন।
ইউক্রেনের এই হাল দেখে ন্যাটোভুক্ত সব দেশেই বিপুল পরিমাণ সৈন্য মোতায়েন করেছে ন্যাটো এবং আমেরিকা ওই সৈন্যদের কাছে অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সরঞ্জাম আছে স্লোভাকিয়াতেও নেটো বিপুল সৈন্য জমায়েত করেছে। তাদের কাছে আছে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এমনটাই জানিয়েছেন স্লোভাকিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জারোস্লাভ নাদ।
ইউক্রেনে এই যুদ্ধে নবীন এস জি নামে এক ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়াও প্রাণ হারিয়েছিলেন।এতদিনেও নবীনের দেহ ইউক্রেন থেকে আনা সম্ভব হয়নি। কারণ, যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনে গিয়ে কেউ নবীনের দেহ আনতে চাইছে না। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এই ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ ইউক্রেনের মেডিকেল কলেজের হাতেই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁর মা-বাবা। ইউক্রেনে যে মেডিকেল কলেজে নবীন পড়তেন সেখানেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজে তাঁর দেহ কাজে লাগানো হবে। নবীনের বাবা শেখরাপ্পা গৌদর জানিয়েছেন, 'আমার ছেলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিল। এখন আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি, যাঁতে তাঁর দেহ অন্য পড়ুয়াদের কাজে লাগে।'
Read story in English