Advertisment

বিশ্বব্যাপী কোভিডের কারণে মানুষের গড় আয়ু উদ্বেগজনক ভাবে কমেছে: অক্সফোর্ড

Corona Pandemic: এখনও পর্যন্ত করোনার কারণে গোটা বিশ্বে ৫০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সেই মৃত্যুকেও এই সমীক্ষার আওতাধীন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফাইল চিত্র

Corona Pandemic: করোনা ২০২০ সালে ব্রহ্মাণ্ডজুড়ে একাধিক দেশের মানুষের গড় আয়ু কমিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এবার প্রথম, যখন ব্যাপক কমেছে মানুষের গড় আয়ু। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় সম্প্রতি এই তথ্য হাতে এসেছে। মার্কিন পুরুষদের গড় আয়ু কমেছে প্রায় দুই বছর। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান দেশগুলো এবং দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশে কোভিডের প্রভাবে কমেছে গড় আয়ু। মোট ২৯টি দেশে সমীক্ষা চালিয়েছিল অক্সফোর্ড।

Advertisment

২২টি দেশ থেকেই এই দাবির স্বপক্ষে হাতেগরমে প্রমাণ পেয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়।  ২০১৯-এর তুল্যমূল্য বিচারে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালে করোনার প্রকোপে মানুষের গড় আয়ু উদ্বেগজনক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনার কারণে গোটা বিশ্বে ৫০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সেই মৃত্যুকেও এই সমীক্ষার আওতাধীন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে, প্রায় ২ বছর ধরে করোনার সঙ্গে লড়ছে গোটা বিশ্ব। ভারতেও করোনার জোরালো দাপট এখনও জারি। তবে গত দু’বছর ধরে করোনার সঙ্গে লড়তে-লড়তে বহু মানুষের শরীরেই তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। সেই অ্যান্টিবডি করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের শরীরেও তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। সম্প্রতি ওড়িশা ১২ টি জেলায় সেরোলজিক্যাল সার্ভে চালানো হয়। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৬-১০ বছর বয়সী ৭০ শতাংশ শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ওই জেলাগুলিতে ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৭৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরীর শরীরেও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

আরসিএমআর-এর রিজিওনাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে ওই সেরো সার্ভে চালানো হয়েছিল। আরসিএমআর-এর অধিকর্তা সংঘমিত্রা পতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ৭০ শতাংশ সেরো প্রিভিলেন্স পাওয়া গিয়েছে। ১১-১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে সেই পরিসংখ্যান ৭৪ শতাংশ। ৬-১০ বছর বয়সী বেশিরভাগ শিশুরা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেনি। কারণ তারা ঘরের মধ্যেই ছিল। তবে তাদের মধ্যেও যারা আক্রান্ত হয়েছে, তার জন্য পরিবারের অন্য কেউ বা ঘনিষ্ঠ কেউ দায়ী।”

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Oxford university World Corona
Advertisment