Awami league BNP Bangladesh India: বাংলাদেশে শুরু হয়েছে 'ইন্ডিয়া আউট' বা ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচার। সেই প্রচার ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল সাইটগুলোতেও। অভিযোগ উঠেছে, ভারত-বিরোধী এই প্রচারকে সরাসরি সমর্থন করছে বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। পালটা, একে বিএনপির ধারাবাহিক 'ভারত বিরোধী রাজনীতি' বলেও তোপ দেগেছে আওয়ামি লিগ।
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মেহমুদ রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেছেন, 'বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে পণ্যের দাম বাড়ানোর জন্য এই বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় পণ্য বাদ দিয়ে বাংলাদেশের বাজারের পরিস্থিতি কখনও ঠিক রাখা সম্ভব?' পালটা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেছেন, 'ভারত বারবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় হয়েছে। যার জেরে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেননি। ভোটদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেই বঞ্চনা থেকেই মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই ক্ষোভের পিছনে বিএনপির কোনও হাত নেই।' পালটা বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুর রহমান বলেছেন, 'বিএনপি বরাবরের ভারত-বিরোধী। তারা এটা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য করে। কিন্তু, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।'
এমনিতে বিএনপির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই খারাপ। ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশের বিরোধী দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকার বাতিল হয়েছিল। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় তাঁর সঙ্গে বেগম জিয়া সাক্ষাৎ করেছিলেন। এভাবেই গত ১০ বছরে ছবিটা সামান্য হলেও বদলাচ্ছিল। তার মধ্যেই বিএনপি ফের ভারতীয় পণ্য বয়কটের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে ভারত-বিরোধিতার রাস্তায় ফিরল বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও এই বিরোধিতার আগুন একদিনে জ্বলেনি। বেশ কিছুদিন ধরেই তা ধুমায়িত হচ্ছিল। ২০১৪ সালে বিএনপি বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন বয়কট করেছিল। কিন্তু, সেই সময় তারা নির্বাচনে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সক্রিয়তার অভিযোগ তুলতে চেষ্টার কসুর করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরও বিএনপি ভারতের বিরুদ্ধে সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ভারত সফরকালে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তির বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছিল খালেদা জিয়ার দল।
আরও পড়ুন- শুধু নেশা করায়? গাঁজার যা গুণ, শুনলে রীতিমতো চমকে উঠবেন
শুধু তাই নয়। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশে হিংসাত্মক বিক্ষোভ হয়েছিল। সেই বিক্ষোভে বিএনপিই মদত দিয়েছিল বলেই অভিযোগ। এবারে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনেও বিএনপি ভারতের বিরুদ্ধে সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে। আর, তারপরই ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে। (তথ্যসূত্র: বিবিসি)