Advertisment

যুদ্ধ থামছেই না আর্মেনিয়ার সঙ্গে, বিতর্কিত অঞ্চলের ৭টি গ্রাম দখল আজারবাইজানের

নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ যুযুধান।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

যুদ্ধ থামছেই না আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে। নাগোরনো-কারবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ যুযুধান। শনিবারই আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, ওই অঞ্চলের একটি শহর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম দখল করেছে আজারবাইজানি সেনা। পাল্টা আর্মেনিয়ার দাবি, বহু আজারবাইজানি সেনা নিহত হয়েছে যুদ্ধে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে বিতর্কিত ভূখণ্ড নিয়ে যুদ্ধ বাধে। দুই দেশেরই দাবি, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল তাদের। ১৯৯৪ সাল থেকেই এই অঞ্চলের দাবিতে বিবাদমান দুই দেশ।

Advertisment

শনিবার আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র শুশান স্টেপানিয়ান জানিয়েছেন, গোটা সীমান্ত জুড়ে যুদ্ধ চলছে। তিনটি আজারবাইজানি বিমান গুলি করে নামিয়েছে সেনা। পাল্টা আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আর্মেনিয়ার দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছে, কোনও বিমান ধ্বংস হয়নি। বরং আর্মেনিয়া সাধারণ মানুষের উপর শেলিং করেছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ জানিয়েছেন, তাঁর দেশের সেনা মাদাগিজ শহর এবং সংলগ্ন সাতটি গ্রাম দখল করে পতাকা উত্তোলন করেছে। নাগোরনো-কারাবাখের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দুই পক্ষের অন্তত ১৫০ জন সেনা নিহত হয়েছে যুদ্ধে। আজারবাইজান যদিও কোনও সরকারি তথ্য দেয়নি এই বিষয়ে। তবে জানিয়েছে, ১৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছেন এবং ৫৫ জন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন সংঘর্ষে উত্তপ্ত আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রসংঘ

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র আর্টসরান ওভান্নিসিয়ান জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৫০০ আজারবাইজানি সেনা নিহত হয়েছে যুদ্ধে। তাদের মধ্যে ৪০০ জন শনিবারই মারা গিয়েছেন। যদিও এটা তাদের দাবি। সাবেক সোভিয়েত আমলে নাগোরনো-কারাবাখ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের ঠিক তিন মাসে আগে নাগোরনো আজারবাইজানের হাত থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৯২ সালে যুদ্ধ শুরু হয় এলাকা বিবাদ নিয়ে। যার জেরে ৩০ হাজার মানুষ মারা যান। ১৯৯৪ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল দখল করে আর্মেনিয়া।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Azerbaijan
Advertisment