বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের তাণ্ডবে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল সকলের। করোনার প্রথম দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর যখন আবার সব কিছু একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল তখন বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন দাপট দেখাতে শুরু করে। ভারতে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে ওমিক্রন প্রথম ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দ্রুত সংক্রমণ শিখরে ওঠে। তার মাঝেই ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতি বিএ.২ নিয়ে চিন্তার কথা শুনিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয় ওমিক্রনের উপপ্রজাতি মানব সমাজে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে।
এবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ‘ গবেষণার পর দেখা গেছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট অতি সংক্রামক তবে গুরুতর নয়’। আর এতেই গালের হাসি চওড়া হয়েছে তামাম বিশ্ববাসীর। WHO একটি বিবৃতিতে বলেছে, জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে এই ভ্যারিয়েন্টের ওপর আরো কিছুদিন কঠোর নজর রাখতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে বিএ.২ এর জিনগত ক্রম অনুসারে বিএ.১ থেকে পৃথক, যার মধ্যে স্পাইক প্রোটিন এবং অন্যান্য প্রোটিনের কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড পার্থক্য রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে বিএ.২-এর বিএ.১-এর তুলনায় বৃদ্ধির সুবিধা রয়েছে। ডাব্লুএইচও বলেছে যে এই বৃদ্ধির সুবিধার কারণগুলি বোঝার জন্য গবেষণা চলছে, তবে প্রাথমিক তথ্য থেকে বোঝা যায় যে বিএ.২ আগের বিএ.১ এর চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে উদ্বেগ কমিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই নিম্নমুখী দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এবার তা নেমে ১০ হাজারের ঘরে। পজিটিভিটি রেটও নেমেছে মাত্র ১ শতাংশে। নিম্নমুখী কোভিডে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ২৭৩ জন। যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই কম। এই মুহূর্তে ভারতে করোনার পজিটিভিটি রেট ১ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ কোটি ২২ লক্ষ ৯০ হাজার ৯২১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৫৪ শতাংশ।