বাংলাদেশে ধর্মীয় হিংসার উৎপত্তি যে কারণে, সেই কুমিল্লার দুর্গাপুজো মণ্ডপে কোরান শরিফ রাখার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার পর বৃহস্পতিহবার রাতে তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই খবর। ইকবাল হোসেন নামে সেই অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের কক্সবাজার সৈকত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত ইকবাল কুমিল্লার দুর্গাপুজো মণ্ডপে ঠাকুরের পায়ের কাছে কোরান শরিফ রেখেছিল বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ভাইরাল হওয়ার পর উত্তাল পরিস্থিতি হয় বাংলাদেশে। একের পর এক জেলায় দুর্গামণ্ডপে ভাঙচুর, হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর-লুঠপাট, হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
গত রবিবার রাতে বাংলাদেশে দুষ্কৃতীরা হিন্দুদের ৬৬টি বাড়ি ভাঙচুর করে এবং ২০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইকবালকে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ কক্সবাজার সৈকত থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রেফতারির খবর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও।
আরও পড়ুন বাংলাদেশে হিংসায় গ্রেফতার ৪৫০, দোষীদের কঠোর শাস্তি চান শেখ হাসিনা
ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইকবালকে সেদিনের রাতের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়। ঘটনার দিন রাতে পুজোমণ্ডপের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় তাকে। বুধবার পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায়, অভিযুক্ত একটি কোরান শরিফ নিয়ে নানুয়া দিঘির পারে পুজোমণ্ডপে ঢোকে ১৩ অক্টোবর রাতে। তারপর ঠাকুরের কাছে সেটা রেখে দেয়।
যদিও পুলিশ ইকবালের গ্রেফতারি ছাড়া আর কোনও তথ্য এখনই দিতে চায়নি। তবে ইকবালের পরিবার দাবি করেছে, সে মানসিক ভারসাম্যহীন এবং কেউ বা কারা তার সেই অবস্থার সুযোগ নিয়ে তাকে দিয়ে এই অন্যায় কাডটি করিয়েছে। যার পর দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা-হানাহানি শুরু হয়। হিন্দুদের উপর নেমে আসে চরম আক্রমণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন