বাংলাদেশে কারাবন্দি লেখক মুশতাকের মৃত্যু, প্রতিবাদ ঢাকায়

সোশাল মিডিয়ায় হাসিনা সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গুজব ছড়িয়ে হিংসায় মদতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

সোশাল মিডিয়ায় হাসিনা সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গুজব ছড়িয়ে হিংসায় মদতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

গত বৃহস্পতিবার রাতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সী লেখক মুশতাক আহমেদের। সোশাল মিডিয়ায় হাসিনা সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গুজব ছড়িয়ে হিংসায় মদতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মৃত লেখকের পরিবারের দাবি, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই জেলে মেরে ফেলা হয়েছে মুশতাক আহমেদকে।

Advertisment

এক বছর আগে মুশতাক আহমেদেরে বিরুদ্ধে শোসাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক প্রচার ও সরকারের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর অভিযোগ ওঠে। করোনা নিয়ন্ত্রণে কার্টুনে হাসিনা সরকারের নানান পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর জেরেই ২-০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বছরের শেষের দিকে মুশতাক আহমেদ সহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জ শিট দাখিল করেছে পুলিশ।

জেলবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাকের মৃত্যুর প্রকৃত তদন্ত দাবি করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে সুপার মহম্মদ গিয়াউদ্দিন জানিয়েছেন, জেলে অচৈতন্য অবস্থায় দেখে বন্দি লেখককে কারা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মুশতাককেবগাজিপুর শহরের নাম করা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিজের অসুস্থতার কথা কোনদিন জানাননি বলে দাবি করেছেন কারা হাসপাতালের চিকিৎসক। ময়না তদন্তের সময় মিশতার আহমেদের খুরতুতো ভাই চিকিৎসক নাফিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

Advertisment

নাফিসুর রহমানের দাবি, 'দাদার শরীরে কোথাউ কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখিনি। তবে, তাঁর রক্তচাপ অনেকটাই কম ছিল।'

কারাবন্দি অবস্থায় মুশতার আহমেদের মৃত্যুর জন্য প্রতিবাদে মুখর ঢাকার ছাত্র-যুবদের একাংশ। রাষ্ট্রীয় দমন নিপীড়নের উৎকৃষ্ট উদাহরণ লেখক মুশতাকের মৃত্যু বলে তুলে ধরেন তাঁরা। চলে শাহবাগে বিক্ষোভও।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Bangladesh