Bhutan King: করোনা অতিমারীর মধ্যে সব দেশের প্রশাসনই সংক্রমণ নিয়ে সজাগ। বিভিন্ন দেশের সরকার বেশ কিছু কোভিড বিধিনিষেধ জারি করেছে। সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে যাতে অনুপ্রবেশ না ঘটে। কিন্তু কখনও শুনেছেন, স্বয়ং রাজা সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন? শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এমনটাই হচ্ছে ভুটানে। দেশের রাজা নিজে সেপাই-পেয়াদা নিয়ে সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছেন।
গত পাঁচ দিন ধরে দেশের পূর্ব সীমান্তে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক নজরদারি চালাচ্ছেন। অনুপ্রবেশের কারণে যাতে দেশে করোনা সংক্রমণ না বাড়ে তাই এমন উদ্যোগ রাজার। তাঁর সঙ্গ দেন প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ভুটানের মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তেনজিং লামসাং রাজার পাহারাদারির ছবি টুইট করেছেন।
অতিমারী আবহে এই নিয়ে ১৪-১৫ বার সীমান্তে নজরদারি চালালেন রাজা। ছবিগুলি পোস্ট কের লামসাং লিখেছেন, অতিমারী পরিস্থিতিতে রাজপ্রাসাদে খুব কমই থেকেছেন ওয়াংচুক। দেশের সুরক্ষার খাতিরে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছেন। রয়টার্সের রিপোর্টে অনুযায়ী, ভুটানে এখনও পর্যন্ত ১৮২৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে আর আম্ত এক জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন চিনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার ডেল্টা প্রজাতি, ৪-৫ দিনের মধ্যেই সঙ্কটাপন্ন রোগী
গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেরিং জাতির উদ্দেশে বলেন, "এখনই যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ না করি তাহলে দেশ শেষ হয়ে যাবে।" দেড় বছর পরেও করোনা অতিমারী নিয়ে দেশবাসীকে সচেতন থাকতে বলেছেন তিনি। কিন্তু রাজা খোদ যেভাবে দেশের পাহারাদার হয়ে কাজ করছেন তার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন