চের্নোবিল পরমাণু কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া নিয়ে বিশ্ববাসীর উদ্বেগ বাড়ল। এখানে তৈরি নতুন একটি গবেষণাগার ধ্বংস করে দিল রাশিয়া। এই গবেষণাগারে বর্জ্য পদার্থ পুনরায় ব্যবহারের জন্য গবেষণা চলত। এমনটাই জানিয়েছে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম। পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জরুরি ভিত্তিতে আয়োজিত ন্যাটোর বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন। তিনি জি-৭ এর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। ব্রাসেলসের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এমনটাই জানিয়েছেন। ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর মনোবল চাঙ্গা করতে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের পাশাপাশি পোল্যান্ডেও যাওয়ার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, 'দ্য কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ' বা কোয়াড-এর সদস্য হিসেবে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী বলেই আমেরিকা মনে করে। মুক্ত এবং খোলা ভারত- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যাপারে ভারতের দাবির সঙ্গেও আমেরিকা সহমত। মার্কিন প্রশাসনের এই বক্তব্যের আগে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও ইউক্রেনের গুরুতর পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গোটা বিশ্বে যে বিপর্যয় ডেকে এনেছেন, তারও তীব্র সমালোচনা করেন জনসন।
এর মধ্যেই বাল্টিক সাগর দিয়ে ইউরোপে পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে, পূর্বদিকে জার্মানি থেকে পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ন্যাটোকেও হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। বুধবার রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, শান্তিরক্ষকদের ইউক্রেনে পাঠানোর যে ভাবনাচিন্তা পোল্যান্ড করেছে, তাতে ন্যাটোর সঙ্গে এবার সরাসরি সংঘাত অনিবার্য। পোল্যান্ড গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, পরবর্তী ন্যাটোর বৈঠকে ইউক্রেনে শান্তি মিশন পাঠানোর এক প্রস্তাব তারা পেশ করবে। তার প্রেক্ষিতেই রাশিয়ার এই হুমকি।
আরও পড়ুন- ইউক্রেন থেকে অপহৃত বহু শিশু, কাঠগড়ায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী
রুশ বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, পোল্যান্ড যা বলছে, নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই বলছে। মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের এক অনুষ্ঠানে রুশ বিদেশমন্ত্রী ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখনই তিনি ন্যাটোকে হুমকি দেন। ল্যাভরভের মতে, এতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ন্যাটোর সামরিক শক্তি সরাসরি সংঘাতে জড়াবে।
Read story in English