আরও তীব্র যুদ্ধের দামামা, সঙ্গীদের মনোবল বাড়াতে পোল্যান্ডে ভাষণ বাইডেনের

আমেরিকা ইতিমধ্যেই নানাভাবে ইউক্রেনবাসীকে সাহায্য করেছে। একইসঙ্গে এই নৃশংস যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে।

আমেরিকা ইতিমধ্যেই নানাভাবে ইউক্রেনবাসীকে সাহায্য করেছে। একইসঙ্গে এই নৃশংস যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
biden

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরোধিতা করছে মুক্ত বিশ্ব। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই প্রধান আর্থিক শক্তিগুলো জোট বেঁধেছে। তাদের লক্ষ্য ভ্লাদিমির পুতিনকে থামানো। শনিবার পোল্যান্ডে এই ভাবেই পুতিন বিরোধিতার সুর আওড়াতে চলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমনটাই জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ইতিমধ্যেই জি-৭, ইউরোপীয় পরিষদ এবং ন্যাটোর সঙ্গীদের সঙ্গে বাইডেন বৈঠক করেছেন। পোল্যান্ডে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছেন। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদার সঙ্গেও বাইডেনের বৈঠকের কথা আছে।

Advertisment

নির্বাচনে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর গতবছর মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসনে বসেছেন বাইডেন। শপথ নিয়েছেন আমেরিকায় গণতন্ত্র ফেরাবেন। স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে বিদেশেও গণতন্ত্রপ্রেমীদের ঐক্যবদ্ধ করবেন। এক্ষেত্রে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আমেরিকার দৃষ্টিতে এই দুই রাষ্ট্রনেতাই স্বৈরাচারী শাসক। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি, পুতিনের নেতৃত্বাধী আমেরিকা ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে। রাশিয়া এই হামলাকে এক 'বিশেষ অভিযান' বলে জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের তিন দশক পর ফের 'ঠান্ডা যুদ্ধ' শুরুর হুমকিও দিয়েছে মস্কো।

আরও পড়ুন- নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার একচুলও হেলবে না, পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়ে দাবি মেদভেদেভের

Advertisment

আমেরিকা ইতিমধ্যেই নানাভাবে ইউক্রেনবাসীকে সাহায্য করেছে। একইসঙ্গে এই নৃশংস যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে। গণতান্ত্রিক নীতির ওপর নির্ভরশীল বিশ্বের পক্ষেও সওয়াল করেছে ওয়াশিংটন। পোল্যান্ডে তাঁর বক্তব্যেও সেসবই পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেবেন বাইডেন। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েতের পতন হয়। তার আগে পোল্যান্ডও দীর্ঘদিন সোভিয়েতের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই সময় পোল্যান্ডের ওয়ারশ বহু রাজনৈতিক পটভূমি তৈরি করেছে। মজার বিষয় হল, বর্তমানে সেই পোল্যান্ডই ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত। এই ন্যাটো আবার সোভিয়েতকে রুখতে তৈরি হয়েছিল। পোল্যান্ডের ঠিক পাশেই ইউক্রেন। সেখানেই হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। যা ইউরোপজুড়ে আরও বেশি করে রাজনৈতিক এবং সামরিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

publive-image

পোল্যান্ডের বর্তমান সরকার ছিল বাইডেনের পূর্ববর্তী ডোনাল্ড ট্রাম্পপন্থী। সেই কারণে সেখানকার শাসক দল জাতীয়তাবাদী পার্টি এবং পোল্যান্ড সরকারের এতদিন বাইডেনের সঙ্গে তেমন একটা দহরম মহরম ছিল না। কিন্তু, প্রতিবেশী দেশে রাশিয়ার হানা পরিস্থিতিটা বদলে দিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্টও তাই ওয়ারশয়ে হাজির হয়েছেন ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ পোল্যান্ডের সরকার এবং শাসকদলের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে।

Read story in English

Joe Biden poland