কড়া মূল্য চোকাতে হবে, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণে যুক্তদের কড়া বার্তা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তবে এই পরিস্থিতির পরেও আফগানিস্তান থেকে উদ্ধারকাজ থমকে যাবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন। বৃহস্পতিবার কাবুল বিমাবন্দরের সামনে বিস্ফোরণের জেরে ১২ আমেরিকান সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের যোগ্য জবাব দেবে আমেরিকা, হোয়াইট হাউস থেকে জঙ্গিদের চরম বার্তা বাইডেনের।
আশঙ্কা সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাতেই কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে ১২ জন আমেরিকান সেনা সদস্য-সহ আরো বেশ কযেকজনের মৃত্যু হয়েছে।নিহতদের মধ্যে আফগানরাও রয়েছেন। জানা গিয়েছে, মরিয়া হয়ে দেশ ছাড়তে দলে দলে আফগানরা কাবুল বিমানবন্দরে যখন জড়ো হয়েছিলেন, তখনই ঘটেছে এই বিস্ফোরণ। আফগানিস্তানে অস্থিরতার সুযোগে সে দেশে বিশেষ করে কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে যে হামলা চালাতে পারে আইএস জঙ্গিরা, তেমন আশঙ্কা আগেই ছিল। বৃহ্সতিবার রাতে সেই আশঙ্কা সত্যি করে হামলা চালায় জঙ্গিরা।
এই বিস্ফোরণের পিছনে আইএস রয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত আমেরিকা। মা্কিন প্রেসিডেন্ট বাইজডেন জানিয়েছেন, হামলার আশঙ্কা থাকলেও আফগানিস্তান থেকে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়া জরুরি বলেই তাঁর সেনাকর্তারা তাঁকে জানিয়েছিলেন। সেই কারণেই উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে। তবে আইএস জঙ্গি সংগঠনকে যোগ্য জবাব দিতে তৈরি আমেরিকা। ইতিমধ্যেই আইএস-এর উপর পাল্টা আঘাত আনতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে সেনাকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আরও পড়ুন- ‘গান পয়েন্টে আমাকে মারধর করা হয়েছে’, ট্যুইটে সরব তালিবানের হাতে ‘নিহত’ সাংবাদিক আফগানিস্তানে গত কুড়ি বছর ধরে ছিল মার্কিন সেনা। আমেরিকার বক্তব্য, তালিবানের চেয়েও অনেক বেশি মারাত্মক আইএস ও তাদের সহযোগী গোষ্ঠীগুলি। ২০১৭ সালে আইএস-এর উপর মোক্ষম আঘাত এনেছিল আমেরিকা। আইএস-এর অস্ত্রাগারে বড়সড় বোমা হামলা চালিয়ে এলাকা তছনছ করে দিয়েছিল মার্কিন সেনা। তবে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। তালিবানের পাশাপাশি ফের আইএস জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।আফগানিস্তান তেকে আমেরিকাকে উদ্দারকাজ চালিয়ে নিয়ে যেতে যথেষ্ট সমস্যায় ফেলতে পারে এই আইএস বৃহস্পতিবার রাতে কাবুলে এই বিস্ফোরণের পর এবার জঙ্গিদের পাল্টা জবাব দিতে ফুঁসছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের গলাতেও বদলার সুর। তাঁর কথায়, ‘‘আইএস সন্ত্রাসবাদীরা জিতবে না। আমেরিকা সময়, জায়গা নির্দিষ্ট করে এই হামলার যোগ্য জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আমরা আমাদের মিশন চালিয়ে যাব। আফগানিস্তান থেকে আমাদের নাগরিক ও আমাদের বন্ধু আফগান নাগরিকদের উদ্ধারকাজ বন্ধ হবে না।”
আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পর থেকে বিদেশিদের পাশাপাশি সেখানকার নাগরিকরাও দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া। বৃহস্পতিবারও আফগানিস্তান ছাড়ার লক্ষ্যে কাবুল বিমানবন্দরে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রত্যেকেই বিমানে দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন