সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গির হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ হাত থাকলেও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের বিরুদ্ধে এখনই পদক্ষেপ করতে চান না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সদ্য হোয়াইট হাউসের মসনদে বসেই সৌদি রাজপরিবারের সঙ্গে সংঘাতে হাঁটতে চাইছেন না বাইডেন। এমনটাই হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর। যতই মার্কিন ইন্টেলিজেন্স খাশোগ্গি হত্যাকাণ্ডে সলমনের হাত খুঁজে পাক না কেন, সরাসরি সংঘাতের পথে হাঁটবেন না বাইডেন।
মাস খানেক হয়েছে ক্ষমতায় এসেছেন। তার মধ্যেই সিরিয়ায় ইরানি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ডেরায় মিসাইল ফেলে রাশিয়া ও পশ্চিম এশিয়ার চক্ষুশূল হয়েছেন বাইডেন। তার উপর এবার যদি ওয়াশিংটন পোস্টের প্রাক্তন সাংবাদিক নিহত জামাল খাশোগ্গির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সৌদি রাজপরিবারের সঙ্গে সংঘাতে যান তাহলে আরব ভূমিতে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বাইডেনের। গত বছর নির্বাচনী প্রচারে সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে বাইডেন বলেছিলেন, ওই দেশে মানুষের কোনও সামাজিক মূল্য নেই। কিন্তু ক্ষমতায় বসার পর সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোড়া লাগাতে খাশোগ্গি হত্যাকাণ্ডে ক্রাউন প্রিন্সকে টানতে চাইছেন না তিনি।
বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টারাও তাঁর পরামর্শ দিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম আরবভূমির বন্ধু দেশের রাজপরিবারকে কালিমালিপ্ত করলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। তাই কোনও ভাবে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে সলমনকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। অন্যতম কারণ হল, ইরানকে চাপে রাখতে সৌদির সহযোগিতা চাই আমেরিকার। একইসঙ্গে পশ্চিম এশিয়ায় সন্ত্রাসদমনে বড় ভূমিকা রয়েছে সৌদির। যা হোয়াইট হাউসের নীতির সঙ্গে খাপ খায়। এর আগে ট্রাম্পের আমলে সলমনের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না আমেরিকার।
তবে খাশোগ্গি হত্যাকাণ্ডে সলমনের হাত রয়েছে, এই তথ্য ট্রাম্পের জমানাতেই হাতে এসেছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের। কিন্তু ট্রাম্প অজ্ঞাত কারণে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনেননি। কিন্তু বাইডেনের প্রশাসন সেই তথ্য এবার জনসমক্ষে এনেছে। আর তাতেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে দুই দেশের মধ্যে। চলতি মাসেই ইয়েমেনের সঙ্গে যুদ্ধ জারি রাখার জন্য সৌদিকে কয়েক শো কোটি টাকার অস্ত্র সরবরাহের চুক্তি বাতিল করেছেন বাইডেন। এর মধ্যে দিয়েই সলমনকে বার্তা দিতে চেয়েছেন বাইডেন।