ধ্বস্ত আফগানিস্তান। সেদেশ ছাড়ার হিড়িক জারি। পাঞ্জশিরে প্রতিরোধের মুখে পড়লেও আফগানিস্তানের বাকি অংশে তালিবানরাজ অব্যাহত। এই অবস্থায় তালিবানদের কোনও মতেই তিনি বিশ্বাস করেন না বলেও হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে ফের স্পষ্ট করলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। একই সঙ্গে অবশ্য শর্ত সাপেক্ষে আফগানিস্তান পুনর্গঠনের কাজে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জো বাইডেন।
রবিবার ওয়াশিংটনে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, "তালিবরা কী আফগানদের আস্থা জয় করে সেদেশের উন্নতিতে সচেষ্ট হবে? এই মৌলিক সিদ্ধান্ত তাদের নিতেই হবে। গত শত বছরে এমন নজির নেই। যদি তালিবানদের পক্ষে এটা সম্ভব হয় তবে আমেরিকা সেদেশের পুনর্গঠনে আর্থিক, বাণিজ্যিক সহ সবধরণের বাড়তি সহায়তায় রাজি।"
তাহলে কী তালিবদের বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? জবাবে জো বাইডেন বলেছেন, "আমি কাউকে বিশ্বাস করি না। আম্ বিশ্বাস করি এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম।"
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আফগানিস্তানে সরকার গড়র ঘোষণা করেছে তালিবান। সেই সরকারকে স্বীকৃতি দিকে রাজি নয় ব্রিটেন সহ বিশ্বের নানা দেশ। যদিও স্বীকৃতি মেলার পথ খুঁজছে তালিবানরা। এই পরিস্থিতে যাতে বিশ্বের অন্য সব রাষ্ট্রের বিরূপ ধারণা তাদের ঘিরে তৈরি না হয় উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরতে মরিয়া তালিবানরা। আমেরিকা সহ নানান দেশের প্রতিনিধিদের সেদেশেই থেকে যাওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছে তালিবাররা। বিষয়টি উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন- ভিড়ে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি, কাবুল বিমানবন্দরে পাল্টা গুলিতে নিহত বন্দুকবাজ
জো বাইডেনের কথায়, "তালিবানরা প্রতিশ্রুতিপূরণ করছে কিনা তা দেখতে হবে। এখনও পর্যন্ত মার্কিন বাহিনীর উপর তারা কোনও হামলা করেনি। যেসব মার্কিন আফগানিস্থান ছাড়ছেন তাদেরও নিরাপদেই ফিরতে দেওয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে যে তালিবদের দাবি সত্যি কিনা।"
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহের পরেই সেদেশে মাথা চাড়া দেয় তালিবানরা। কার্যত বিনা প্রতিরোধেই দখল করে দেশ। বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন বাইডেন সরকারের আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কী ঠিক ছিল? এপ্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, "এখন যদি আফগানিস্তান থেকে সেনা না ফেরানো হয় তবে তা কবে হত? ১০ বা ৫ বছর পর? আমি এ দেশের কারুর ছেলে বা মেয়েকে সেদেশে যুদ্ধের জন্য পাঠাতে রাজি নই।" তাঁর দাবি, "ইতিহাস বলবে আফগানিস্তান থেকে এখন মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিসম্মত ও সঠিক।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন