মাস্টার স্ট্রোক দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত বিলাওয়াল ভুট্টোর হাতেই তুলে দিলেন বিদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব। বিলাওয়ালের আরেকটি বড় পরিচয়, তিনি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে। শুধু তাই নয়, ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির শীর্ষনেতাদের একজন। যে দলের সমর্থন না-থাকলে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন কাপ্তান ইমরানের থেকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি দখল শেহবাজের পক্ষে সহজ হত না। পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর পরই বিদেশমন্ত্রীই সর্বাধিক গুরুত্ব পান। মা বেনজিরের মতোই আগাগোড়া ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করা বিলাওয়ালকে সেই গুরুত্বপূর্ণ পদটিই পাইয়ে দিলেন শেহবাজ। সঙ্গে, দিলেন বৈদেশিক রাজনীতিতে বর্তমানে প্রায় একঘরে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি তুলে ধরার গুরুদায়িত্ব।
ইংল্যান্ডে বহু প্রবাসী পাকিস্তানি থাকেন। স্বয়ং শেহবাজের দাদা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফই থাকেন ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডে বসবাসরত পাকিস্তানের নাগরিকদের কাছ থেকে নানা সুবিধা পেয়ে থাকে ইসলামাবাদ। এই সাহায্যের ব্যাপারে ইংল্যান্ডের জনপ্রতিনিধি আফজল খান তো অন্যতম বড় নাম। ম্যাঞ্চেস্টারের প্রাক্তন মেয়র আর সেখানকার বর্তমান জনপ্রতিনিধি আফজল, ব্যবসা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক- নানাভাবেই পাকিস্তানকে সুবিধা পাইয়ে দেন। তাঁর সঙ্গে ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করা বিলাওয়ালের যোগাযোগ রাখার কাজটা সহজ হবে।
তবে, চাপ বাড়ল ভারতের। কারণ, দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তকমা পাক, এখন সেই চেষ্টাই করছে ভারত। কাশ্মীর-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বারবার সন্ত্রাসের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকেই নিশানা করেছে নয়াদিল্লি। এক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের কায়দায় গড়ে ওঠা বিলাওয়াল আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে বহু আগে থেকেই পরিচিত নাম। ইংল্যান্ডের নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়া এই নতুন পাক বিদেশমন্ত্রীর বন্ধুরা বর্তমানে ইউরোপ এবং আমেরিকা-সহ আন্তর্জাতিক দুনিয়ার বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রশাসনে উচ্চপদে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে নতুন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়ালের যোগসূত্র থাকায় পাকিস্তানের ভাবমূর্তি স্বভাবতই আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় উজ্জ্বল হবে।
Read story in English