Covishield Vaccine: ভারতে তৈরি কোভিশিল্ডকে ছাড়পত্র দেওয়া উচিত। শুক্রবার সিরাম ইনস্টিটিউটের পাশে দাঁড়িয়ে এই দাবি করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বরিস জনসন বলেন, ‘ভারতে উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড যারা নিয়েছেন, তাঁদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাসপোর্ট স্কিমের বাইরে রাখা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের পিছনে কোনও যুক্তি নেই।‘
সূত্রের খবর, সিরামের তৈরি এই টিকাই ব্রিটেনে ইতিমধ্যে নিয়েছেন প্রায় ৫০ লক্ষ নাগরিক। শুক্রবার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই কোভিশিল্ডকে মান্যতা না দিলেও ইউরোপের ৯টি দেশ ভারতে তৈরি কোভিশিল্ড গ্রহীতাদের জন্য ভিসা নীতি শিথিল করেছে। এই নয়টি দেশের তালিকায় আছে: জার্মানি, গ্রিস, স্লোভেনিয়া, আইসল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, স্যুইৎজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়া।
তবে বিদেশ মন্ত্রক বলছে, সুর চড়িয়েছিল ভারত। আর তাতেই কাজ হল। যাতায়াতের ক্ষেত্রে ইউরোপের নয় দেশ মান্যতা দিল কোভিশিল্ডকে। অর্থাৎ, ইউরোপীয় “গ্রিন পাস”-এর অন্তর্ভুক্ত হল সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি এই কোভিড ভ্যাকসিন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোভিশিল্ডের অনুমোদন না মেলায় ভারতীয়দের বেজায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। কোভিশিল্ড প্রাপকদের ইউরোপে গেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে ইউরোপে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলেও একই উপাদানে তৈরি ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিশিল্ডের কেন অনুমোদন পাবে না? একইভাবে সমস্যায় কোভ্যাকসিন গ্রহীতারা। ভারত বায়োটেক আর আইসিএমআর তৈরি এই টিকা হুয়ের তালিকাভুক্তই নয়।
যদিও, তৃতীয় হিউম্যান ট্রায়ালের তথ্য জমা না দেওয়ায় এই জটিলতা। এমনটাই হু সূত্রে খবর। এদিকে, কোভিশিল্ড প্রশ্নে কেন্দ্রের তরফে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, কোভিশিল্ডকে মান্যতা না দিলে ইউরোপ থেকে ভারতে আগত যাত্রীদের উপরও বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম আরোপ করা হবে। মান্যতা দেওয়া হবে না ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল সার্টিফিকেটকেও। মনে করা হচ্ছে তার জেরেই যাতায়াতের ক্ষেত্রে ইউরোপের ৯ দেশ মান্যতা দিল কোভিশিল্ডকে।
অপরদিকে, করোনা টিকা হিসাবে ফাইজ়ার-বায়োএনটেক, ভ্যাক্সজেরভ্রিয়া, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকা বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অনুমোদনপ্রাপ্ত। এই চারটি সংস্থার টিকাপ্রাপ্তদের ১ জুলাই থেকে ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। যাকে গ্রিন কারড বলা হচ্ছে। এবার এর অন্তর্ভুক্ত হল ভারতেরকোভিশিল্ড। তবে, কোভ্যাকসিনকে এখনও মান্যতা দেওয়া হয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন