ব্রিটেনের বিখ্যাত ডাউনিং স্ট্রিটে তাঁর অফিসে করোনার লকডাউন ভাঙার দায় নিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এই দায় নেওয়ার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেওয়া নিজের আগের বিবৃতি সংশোধনও করলেন জনসন। এর আগে তিনি ব্রিটেনের পার্লামেন্টকে জানিয়েছিলেন, লকডাউনের নির্দেশ সর্বত্র সমানভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল। কিন্তু, পরে জানা গিয়েছে, জনসনের এই দাবি সত্যি না। ভুল তথ্য দেওয়া সম্পর্কে বরিস জানিয়েছেন, তিনি আসলে লকডাউন ভাঙার ব্যাপারটা জানতেন না। তাঁর অফিসের কর্মীরা বের হওয়ার সময় যে লকডাউনের রীতি ভেঙেছে, সেই সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দফতরের কর্মীদের কীর্তিকলাপের দায় এড়ানো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এটা বুঝে জনসন বলেন, 'কর্মীদের এই আচরণে আমি আতঙ্কিত। তবে, আমার অধীনে ঘটে যাওয়া সব কিছুর দায় আমি নিয়ে থাকি এবং নিচ্ছি। যেমনটা আগে বলেছিলাম যে আমি যতক্ষণ অফিসে ছিলাম, ততক্ষণ বেআইনি কিছু ঘটেছে, তেমনটা দেখিনি। কিন্তু, এটা যে আমি চলে যাওয়ার পরে কেউ একসঙ্গে জড় হল, তেমন ঘটনা না, সেটাও পরিষ্কার।' করোনার সময় সর্বত্র যখন লকডাউন চলছে, সেই সময় ২০২০ সালের জুনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পড়েছিল। কর্মীরা সেটা ভোলেননি। ওই লকডাউনের মধ্যে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করতে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- নির্বিচারে হত্যা! মার্কিন কিশোর শ্যুটাররা কোথা থেকে পায় আগ্নেয়াস্ত্র?
সেই সময় পরিস্থিতি এমনই যে একসঙ্গে জড় হলেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। সেই জন্য সমস্ত জমায়েতের ওপর গোটা বিশ্বেই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। কিন্তু, বরিসের জন্মদিন পালনে মগ্ন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্মীরা তার তোয়াক্কা করেননি। নিয়মতান্ত্রিক ব্রিটেনে এই সব ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়ার রীতি নেই। তা সে প্রধানমন্ত্রী হলেও না। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রধান কর্তা যেহেতু তিনি, তাই বরিস জনসনও ছাড় পাননি। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে জরিমানা করেছিল। খোদ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দফতরের কর্মীরাই যেখানে আসামী, সেখানে দেশের বাকিরা কী শিখবে? সেই প্রশ্নও উঠে আসে। যার জন্য ব্রিটেনের পার্লামেন্টে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন বরিস জনসন। এবার সংশোধিত বিবৃতিতে তিনি দায় স্বীকারও করে নিলেন।
Read full story in English