Advertisment

জার্মানির মতোই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করল ব্রিটেনও

এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিদেশ দফতর লন্ডনের রুশ রাষ্ট্রদূতকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Borris Johnson said about England's economic sanctioned Russia

ইউক্রেন ইস্যুতে ব্রিটেনের হাউস অফ কমন্সে বিবৃতি দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি জানান, মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, ইউক্রেন সীমান্তে ১ লক্ষ ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যা সম্পূর্ণভাবে শান্তপ্রিয় ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব নষ্টের চেষ্টা ছাড়া কিছু না। মার্কিন প্রশাসনের সুরেই মঙ্গলবার বরিস জানিয়ে দেন, তাঁর সরকার রাশিয়ার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে।

Advertisment

ব্রিটেনের স্বাস্থ্য এবং সমাজ বিভাগের সচিব সাজিদ জাভিদের দাবি, মস্কোর আচরণ ইউক্রেনের ওপর হামলার চেয়ে কিছু কম না। এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রশাসনের কেন্দ্রস্থল ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে জানানো হয়েছে, তারা রাশিয়ার ওপর গ্যাস সরবরাহের কারণে নির্ভরশীল। কিন্তু, শুধু ব্রিটেনই না। আগামিদিনে গোটা ইউরোপ সেই নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করবে। জার্মানি ইতিমধ্যেই রাশিয়া থেকে গ্যাস নেওয়া বন্ধ করার কথা জানিয়েছে। ব্রিটেনও যে একই পথে হাঁটবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বরিস জনসনের দফতর।

হাউস অফ কমন্সে বরিস জনসন জানান, তাঁরা গোটা পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছেন। তাঁরা রাশিয়ার ইতিহাসকে সম্মান করেন। কিন্তু, তারপরও রাশিয়ার এহেন আচরণ তাঁরা মানতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার বিদেশ দফতর লন্ডনের রুশ রাষ্ট্রদূতকে জরুরি ভিত্তিতে তলব করেছে। পুতিন ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের দুটি বিদ্রোহী এলাকাকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেই ইস্যুতেও হাউস অফ কমন্সে মুখ খোলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ইউক্রেন নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের আগামী পরিকল্পনা রুখতে বাকি ইউরোপ এবং আমেরিকার সঙ্গে ব্রিটেনও ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন- তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধর বদলে ফিরল ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’

এর মধ্যে পূর্ব ইউরোপের ডোনেত্স্ক শহরের ঠিক বাইরে সাঁজোয়া গাড়ি এবং সশস্ত্র সেনাকে দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে যতরকম ভাবে সাহায্য করা যায়, ইউরোপ এবং আমেরিকা তা করবে বলেই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান। বরিস বলেন, রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যাবতীয় লেনদেন এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে ব্রিটেন। পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন বাতিল করা হয়েছে।

আমেরিকা যখন ন্যাটো জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তখন কিন্তু বসে নেই মস্কোও। আজারবাইজান থেকে বিভিন্ন ছোট দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুতিনও চেষ্টা করছেন, সোভিয়েত পর্বের মতোই রাশিয়াকে বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম মেরু করে তুলতে। ইতিমধ্যেই বেলারুশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনও ইতিমধ্যে সমর্থন করেছেন পুতিনকে।

russia Britain Ukraine Ukraine Crisis
Advertisment