বছর ঘুরলেও এখনও দাপট অব্যাহত করোনার। বিশ্বের একাধিক দেশে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। নয়া স্ট্রেন আতঙ্ক ধরাচ্ছে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার একদিনে ব্রাজিলে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেন করোনায়। যা রীতিমতো ভয়াবহ পরিসংখ্যান। দেশের মানুষ করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্য়র্থতাকেই দায়ী করেছেন এই পরিস্থিতির জন্য।
একদিনে ১,০০,১৫৮ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭৭৭ জনের। অতিমারীর জেরে ব্রাজিলে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আমেরিকার পরই দ্বিতীয় সর্বাধিক মৃত্যু লাতিন আমেরিকার এই বৃহত্তম দেশে। করোনার টিকাকরণও ধীর গতিতে চলছে এই দেশে। জাতীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের অভাব এবং নয়া প্রজাতির করোনার জন্য সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে দিন দিন মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। বিরোধীদের নিশানায় প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। গদি বাঁচানো এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে বলসোনারোর কাছে। অতিমারী মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার জন্য বলসোনারোর ঔদ্ধত্যকে দায়ী করছেন বিরোধীরা। লকডাউনের বিরোধিতা করা, মাস্ক নিয়ে উদাসীনতা এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে দ্বন্দ্বের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, বলছেন বিরোধীরা।
একইসঙ্গে প্রেসিডেন্টের উপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বিদেশ মন্ত্রী এর্নেস্টো আরাউজোকে অপসারণের জন্য। কোভিড মোকাবিলায় বিদেশ মন্ত্রীর ব্যর্থতার দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। সেনেট প্রেসিডেন্ট রডরিগো পাচেকো বৃহস্পতিবার বলেছেন, দেশের বিদেশ নীতি আরও উন্নত হওয়া প্রয়োজন। তবে মন্ত্রীকে সরানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলসোনারোই নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।