এবার করোনা থাবা বসাল ব্রিটিশ রাজপরিবারে। কোভিডে আক্রান্ত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রবিবারই বাকিংহাম প্যালেসের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। তাঁর শরীরে করোনার মৃদু উপসর্গও রয়েছে। আপাতত উইন্ডসোর ক্যাসলে আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি করোনা সংক্রমিত (Corona Positive) হয়েছিলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে প্রিন্স চার্লস। জানা গিয়েছিল, তার দু’দিন আগেই মায়ের সঙ্গে উইন্ডসোর ক্যাসেলে দেখা করেছিলেন তিনি। ছেলে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর রানি করোনা পরীক্ষা করেছিলেন কি না, সে সময় তা কিছুই জানা যায়নি। এরপর গত সপ্তাহেই তিনি ক্যাসেলের মধ্যেই একটি অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছিলেন। আর এবার প্রকাশ্যে এল তাঁর সংক্রমিত হওয়ার খবর।
রানী দ্বিতীয় এলজাবেথকে যাতে কোনওভাবেই কোভিড ছুঁতে না পারে তার জন্য গত দু বছর কোনও চেষ্টার ত্রুটিই করা হয়নি। রানীকে করোনা থেকে বাঁচাতে আলাদা করে বিশেষজ্ঞ দলও গড়া হয়েছিল। করোনার কারণেই রানী এলজাবেথকে গত দু বছরে প্রকাশ্যেও সেভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু এরপরেও রাজ পরিবারে করোনা হানা দিয়েছিল। করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। অবশ্য রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে তখনও করোনা ছুঁতে পারেনি।
বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) সর্দি রয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই হালকা কাজ কর্ম করতে তাঁর কোনও সমস্যা হবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সমস্ত কোভিড গাইডলাইন মেনেই আইসোলেশনে থাকবেন তিনি। তবে তাঁর বয়স ৯৫ বছর হয়ে যাওয়ায় সামান্য উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
রাজপরিবারের তরফে আগে জানা গিয়েছিল, করোনা ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। তার পরও করোনা থাবা বসাল তাঁর শরীরে। উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরের দিকে তাঁর অসুস্থতার কথা সামনে এসেছিল। তাঁর একরাত হাসপাতালে কাটানো নিয়েও নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। যদিও বাকিংহাম প্যালেসের তরফে সে সময় জানানো হয়, রানি সুস্থই। কিন্তু নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সফর বাতিল করার পর স্কটল্য়ান্ডের গ্লাসগোয় বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনেও যোগ দেননি ব্রিটেনের রানি। আর এবার রাজপরিবারই নিশ্চিত করল রানির করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা।