Kabul Update: ব্রিটেন পৃথকভাবে আফগানিস্তানে তালিবানের সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না। আন্তর্জাতিক মঞ্চের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে সে দেশে তালিবান সরকারের ভবিষ্যৎ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এই অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টার। পড়শি দেশের সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে বিশ্বের একাধিক তাবড় দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেই ফোনালাপের সূত্র ধরেই বরিস জনশন আফগান প্রশ্নে ব্রিটেনের অবস্থান চূড়ান্ত করেছেন।
জানা গিয়েছে, পাক প্রধানমন্ত্রীর ফোনের পরেই জনসন ইউএস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। ব্রিটিশ সংসদেও আফগান পরিস্থিতি নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। তারপরেই ইউকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সূত্রে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক শরিকদের সঙ্গে আফগানিস্তানের মানবাধিকার বিপর্যয় রোধে সহমতের ভিত্তিতে কাজ করবেন। ইউকের তরফে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। আন্তর্জাতিক ভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে দেশে তালিবান সরকার তখনই স্বীকৃতি পাবে, যখন আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে তৈরি হওয়া মানবাধিকার নিশ্চিত করতে তারা উদ্যোগী হবে।‘
এদিকে, ব্রিটেন তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে চিন এবং রাশিয়া। ঘুরিয়ে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে তারা। পাশাপাশি আফগানিস্তানে চলা সব জার্মান উন্নয়নমূলক প্রকল্প বন্ধ রেখেছে সে দেশের চ্যান্সেলর। এদিকে, সরকার গঠনের আগে প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তালিবান কম্যান্ডার আনাস হাক্কানি। বুধবার তালিবান আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আনাস হাক্কানি। বৈঠকে কারজাইয়ের সঙ্গে ছিলেন পূর্বতন সরকারের শান্তিদূত আবদুল্লা আবদুল্লা।
তবে এই বৈঠকে ছিলেন বর্তমান আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ-র। গতকালই তিনি দাবি করেছেন, দেশের বর্তমান কেয়ারটেকার প্রেসিডেন্ট তিনিই, যেহেতু আসরাফ ঘানি চলে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সরকার গঠন নিয়ে কারজাইয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তালিবানদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন