ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বক্তৃতায় দেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি ঋষি সুনাকের। এদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভা গ্রহণ করার পর তাঁর পূর্বসূরি লিজ ট্রাসের কয়েকটি ভুলের কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন সুনাক। লিজ ট্রাস গত সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আজ প্রথম বক্তৃতায় দেশের অর্থনৈতিক সুদৃঢ়তার কথা উঠে আসে ঋষি সুনাকের মুখে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''আমাদের দেশ গভীর অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। কোভিডের বিপর্যস্ততার ছাপ এখনও রয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনে পুতিনের যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে জ্বালানি বাজার এবং সরবরাহ চেইনকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। আমি এই সরকারের এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আস্থার বিষয়টির উল্লেখ করতে চাইব। এর মানে এই যে কঠিন সিদ্ধান্ত আসবে।''
এরই পাশাপাশি বক্তৃতায় পূর্বসূরি লিজ ট্রাসের কয়েকটি ভুলের কথাও এদিন মেনে নিয়েছেন ঋষি। ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী এপ্রসঙ্গে বলেন, ''আমার পূর্বসূরি লিজ ট্রাসকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই। এদেশে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চাওয়া ভুল ছিল না। এটি একটি মহৎ লক্ষ্য ছিল। ট্রাসের বদলের চেষ্টা আনার নিরলস প্রয়াসকে সম্মান করি। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু ভুল হয়েছে। তবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই ভুল হয়নি। কিন্তু তবুও এটা ভুল। তবে এবার সেই ভুলগুলি শোধরাতে আমি দলের নেতা নির্বাচিতি হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।''
আরও পড়ুন- ‘অভিনন্দন ঋষি, তোমাকে নিয়ে আমরা গর্বিত’! ইতিহাস গড়লেন জামাই, সাফল্য কামনায় নারায়ণ মূর্তি
দলের নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালনের অঙ্গীকার করেছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনাক। তিনি বলেন, ''আমি (ইশতেহারের) প্রতিশ্রুতি পূরণ করব। একটি শক্তিশালী এনএইচএস, আরও ভালো স্কুল, নিরাপদ রাস্তা, সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশ রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে নজর দিতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীর পাশে থাকব। এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই যা ব্রেক্সিটের সুযোগকে ব্যবহার করে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াবে, চাকরি তৈরি করবে।''
''দেশে এমন একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে যাতে সরকারের সব দায়ভার সরকার নিজেই নিতে পারে'', প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বক্তৃতায় এমনই বলেছেন সুনাক। তাঁর কথায়, ''আমি যে সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছি সেই সরকার নিজের দেনা নিজেই শোধ করবে। পরবর্তী প্রজন্মকে অর্থাৎ আপনার সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের ঋণ পরিশোধের জন্য ছেড়ে দেবে না।''