কোভিডে আক্রান্ত হলে একাধিক জটিল রোগের সমস্যাও একসঙ্গে বাড়ছে রোগীদের। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্ট্রোকের আশঙ্কাও থাকে। মূলত সংবহনতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে বেশি।
আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের স্ট্রোক বিভাগের এক সাম্প্রতিকতম গবেষণা জানাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাঁদের বয়স ৬৫ থেকে ৭৪ এর মধ্যে, তাঁদের স্ট্রোকের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ৩৫ হাজার ৩৭৯ জন রোগী, যাঁদের বয়স ৬৫-এর বেশি, তাঁদের সকলের চিকিৎসার ইতিহাস পরীক্ষা করেই গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই বয়সিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রবল।
গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা আরও জানাচ্ছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার তিন দিন পর্যন্ত স্ট্রোকের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে। তিন দিন পর থেকে সম্ভাবনা কমতে থাকে। তাঁদের মতে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ৭ দিন আগে ও ২৮ দিন পরে স্ট্রোকের যে ঝুঁকি থাকে, সংক্রমিত হওয়ার তিন দিন পর্যন্ত সেই ঝুঁকি থাকে ১০ গুণ বেশি। তিন দিন পর থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত এই ঝুঁকি কমে ৬০ শতাংশ হয়। আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর আশঙ্কা কমে ৯ শতাংশ!
সেই সঙ্গে করোনা পরবর্তী লং কোভিডের সমস্যা আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মধ্যে। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। অনেক ক্ষেত্রে লং কোভিডের শিকার হয়ে বাড়ছে নানা মানসিক সমস্যা, অবসাদ। এদিকে করোনা পরবর্তীকালে লং কোভিডে সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন আপনিও। জানিয়েছ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। এব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সংক্রামক রোগ এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ভ্যান কেরখোভ একটি টুইটও করেছেন, সেখানে তিনি বলেছেন, লং কোভিডের সমস্যা করোনা পরবর্তী একটি সাধারন সমস্যা। লং কোভিড এড়ানোর বর্তমান সুরাহা কী? সম্পূর্ণ টিকাকরণ, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।