হিজাব পরার কারণে এক মুসলিম শিক্ষিকাকে বদলি করা হল। কানাডার এই ঘটনায় ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকারি কর্মীদের কাজের সময় ধর্মীয় চিহ্ন, পোশাক পরা নিয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে উত্তর আমেরিকার এই দেশে। সেই আইন নিয়ে এবার তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
চেলসি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ফাতিমা আনভারিকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ওই স্কুলেই অন্য বিভাগে কাজ দেওয়া হয়েছে। কারণ, কানাডার কুইবেক শহরের ধর্মনিরপেক্ষ আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে মন্ট্রিল গ্যাজেট নামে সংবাদপত্রে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এই বিতর্কিত আইন পাশ হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছে, সরকারি অফিসে কর্মীদের, বিশেষ করে বিচারক, আইনজীবী, সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ধর্মীয় কোনও চিহ্ন ধারণ করতে পারবেন না। অনেক আইনি জটিলতার মধ্যে দিয়ে এই আইন পাশ হয়। অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের নিশানা করার জন্যই এই বিতর্কিত আইন পাশ করা হয়।
ফাতিমা কানাডার সিটিভি নেটওয়ার্ককে জানিয়েছেন, "এই ইস্যুটি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার থেকেও বড়। তিনি বলেছেন, এটা আমার পোশাক নিয়ে সমস্যা নয়। এটা বড় ইস্যু। এটা মানুষের সমস্যা। আমি এটাকে ব্যক্তিগত সমস্যা হিসাবে দেখতে চাই না। আমি চাই, সবাই বুঝুক এটা প্রত্যেকের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলবে।"
আনভারি মিডিয়াকে বলেছেন, তিনি যখন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে যান, তখন তাঁকে বলা হয় তাঁর হিজাব একটি ধর্মীয় জিনিস। তাঁর কথায়, "হিজাব পরলেই সে ইসলামপন্থী না পরলে সে নয় এমনটা নয়। আমার বিশ্বাস, সবার এই অধিকার আছে তাঁরা কী পরবেন আর কী পরবেন না। তাতে ধর্মীয় আস্থার কোনও বিষয় নেই। আমি স্বেচ্ছায় এটা পরেছি। কেউ জোর করেনি। তাও এটাক ধর্মীয় বলা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন হোমের মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তকরণ! মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিরুদ্ধে FIR
এদিকে, এই ঘটনায় পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা ভীষণ বিরক্ত। আনভারির সমর্থনে তাঁরা সবুজ ফিতে স্কুলের পাঁচিলে বেঁধে দেন। এছাড়াও খোলা চিঠি লিখে শিক্ষিকার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেছেন। দেশের আইনপ্রণেতাদের চাপে রাখতে এই আন্দোলন শুরু করেছেন অভিভাবকরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন