সাংহাইয়ে করোনা পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে উঠেছে। দুবছর আগে উহানের থেকেও খারাপ পরিস্থিতির শিকার সাংহাই। রোজই লাফিয়ে বেড়ে চলছে সংক্রমন। শিশুদের মধ্যেও ধরা পড়েছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিত শিশুদের মা, বাবা পরিবারের থেকে আলাদা আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ বেড়েছে অভিভাবকদের মধ্যে।
এর পাশাপাশি সাধারণের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে থাকার কারণে আইসোলেশন সেন্টারের অভাব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার শহরবাসীদের ঘর চেয়েছে প্রশাসন। আর এতে প্রবল ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। সাংহাই শহরের একাধিক আবাসিক কেন্দ্রগুলিতে আইসোলেশন তৈরির নির্দেশিকা ঘিরে বেড়েছে ক্ষোভ। আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার জন্য ঘর ছাড়তে হবে বাসিন্দাদের। এই নির্দেশের পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় মানুষ। একে করোনার দাপটে নাজেহাল তারওপর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বিপালে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে।
জানুয়ারী মাসে কোভিড বিধি ভঙ্গের জন্য ৫৯ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারিতে সেই সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। কিন্তু মার্চে, ওয়েইবোতে ৬০০ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে সেই সঙ্গে ১৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। সান জিয়ান, চীনের ইয়ানতাই শহরের এক পড়ুয়া বলেন, কয়েক মাস ধরে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড -১৯ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা সহ প্রচার চালানোর ফলে তাকে পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়টে হয়েছে। তাকে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। কেন এই পুলিশি হেনস্থা? জানা গিয়েছে এর পিছনে রয়েছে বেশিরভাগ মানুষের লকডাউন না মানার প্রবনতা। সেই সঙ্গে কিছু সরকারি আদেশ। এদিকে করোনা সংক্রমণের মাঝেই চলছে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে অপপ্রচার।
আরও পড়ুন: কিয়েভে ৯০০ সাধারণ মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার, দাবি ইউক্রেনের
করোনা কালের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে চিন বাড়তে থাকা সংক্রমণকে রুখতে মরিয়া হয়ে সাংহাইয়ের মতো শহরে জারি করা হয়েছে কড়া লকডাউন। ফলে সম্পূর্ণ গৃহবন্দি গোটা শহর। কোনও অনুমতি নেই বাইরে বেরনোর। যার ফলে খাবার, জল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে ধুঁকছে জনজীবন। পরিস্থিতি এমনই ভয়াবহ, বাধ্য হয়ে বহু বাড়ির জানলায় দাঁড়িয়ে আর্ত চিৎকার করতে দেখা গিয়েছে অনেককে। সেই সঙ্গে সাংহাইয়ে লকডাউনের কারণে প্রবল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি চিন।