নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে চিন। ভারতকে সতর্ক করলেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও এই ঘোষণা করেন। মাইক পম্পেও। তাঁর দাবি, লাদাখ সীমান্তে প্রায় ৬০ হাজার লালফৌজ মোতায়েন করেছে বেজিং। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। পম্পেওর দাবি, চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লির অবশ্যই আমেরিকার সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সতর্কবার্তার সঙ্গেই পরক্ষে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
টোকিওয় চার দেশের (আমেরিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান) বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মাইক পম্পেও। সেখান থেকে সোজা দিল্লিতে আসছেন তিনি। মাইক পম্পেয়র সঙ্গে আসছেন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারও। তিনিও দিল্লিতে ভারতের প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। লাদাখ যে আলোচ্য বিষয়ের প্রধান ইস্যু হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মাইক পম্পেও বলেছেন, 'এই চার দেশই বৃহৎ গণতন্ত্র, অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী। একইসঙ্গে এই তার দেশেরই চিনা কমিউনিস্ট পার্টির হুমকির মুখোমুখি। প্রকৃত বিপদের সম্মুখীন ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের দেশেও তাঁরা একই অভিজ্ঞতা করেছেন।'
এরপরই ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন পম্পেও। তিনি বলেছেন, 'হিমালয়ের পাদদেশে ভারতের উত্তরপ্রান্তে ইন্দো-চিন সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। যা সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে চিন ভারতের উত্তরপ্রান্তে বিপুল বাহিনী মোতায়েন করছে।'
বেজিংয়ের আগ্রাসন ঠেকাতে চার দেশের জোট নীতি আরও উন্নতি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব। তাঁর কথায়, 'লালফৌজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যই উচিত নয়াদিল্লির সহযোগী বা অংশীদার হওয়া।'
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। এখন অনেক দেশেরই সহযোগী আমেরিকা বলে দাবি মাইক পম্পেওর। আমেরিকা সব হুমকির বিপক্ষে, গণতান্ত্রিক পরিবেশে আইনের শাসন মেনে সব দেশ পরিচালনার পক্ষে বলে জানান তিনি।
উহানে ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া তদন্তের পক্ষে সোচ্চার হতেই তাদের দিকে চিনা হুমকি তেড়ে এসেছে। বেজিং তাদের বুলি করা শুরু করেছে। এর বিপক্ষেই জোটবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন পম্পেও।
প্রসঙ্গত, লাদাখ নিযে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি আর গভীর হচ্ছে। শীত এগিয়ে এলেও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। দুইই দেশের সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনাতেও মেলেনি সমাধান। চিন কিছুতেই এলএসি মানতে চাইছে না বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সংসদে তিনি জানিয়েছেন এলএসসি নিয়ে যে চুক্তি চিনের সঙ্গে ভারতের হয়েছিল তা এখন তাঁরা মানতে চাইছেন না।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন