আগেও একাধিক প্রমাণ মিলেছে যোগসাজশের। এবার হাতেগরম সূত্র পেল ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স। লাদাখ ইস্যুতে চিন-পাকিস্তানের যোগসাজশের প্রমাণ আগেও পেয়েছে নয়াদিল্লি। ইন্টেলিজেন্স সূত্রে খবর, সীমান্তে ফের ঘোঁট পাকাচ্ছে পাকিস্তান। তার তাদের মদত দিচ্ছে চিন। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা কড়া নজরদারি রাখছে দুই দেশের অভিসন্ধির উপর। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সামরিক নির্মাণ বানাচ্ছে পাকিস্তান। তাও আবার চিনের মদতে। পাকিস্তান নয়া মিসাইল সিস্টেম অধিকৃত কাশ্মীরে বানাচ্ছে বলে পাকা খবর আছে ইন্টেলিজেন্সের কাছে। জানা গিয়েছে, দুই দেশের সামরিক শক্তি ভারতকে চাপে রাখতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
গত মাসেই ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ এন্ড অ্যানালিসিস উইং (র) জানতে পেরেছে, অধিকৃত কাশ্মীরে নয়া মিসাইল সিস্টেম বানাতে পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চিন। অধিকৃত কাশ্মীরের লাসাদান্না ধোকের কাছে উন্নত মানের সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম বানানোর জন্য লালফৌজ ও পাক সেনার কর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেই অনুযায়ী, নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। সূত্রের খবর, ১৩০ জন পাক সেনা ও ২৫-৪০ জন স্থানীয় বাসিন্দা এই নির্মাণকাজ করছে। ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঘ জেলায় পাক সেনার সদর দফতরে এর কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ‘পলাতক’ নওয়াজকে পাকিস্তানে ফেরাতে তৎপর ইমরান খান সরকার
সেই কন্ট্রোল রুমে ১০ চিনা সেনা আধিকারিক রয়েছেন। একইরকম নির্মাণকাজ ঝিলাম জেলার চিনারি এবং হাত্তিয়ান বালা জেলার চাকোঠিতেও হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। দুটি জায়গায় অধিকৃত কাশ্মীরে। এর আগে গত জুনে জানা গিয়েছিল, বেজিংয়ে লালফৌজের সদর দফতরে পাক সেনার দুই সিনিয়র অফিসারকে বসানো হয়েছে দুই দেশে সেনাবাহিনীর মধ্যে একতা বাড়ানোর জন্য। দিন তিনেক আগে পাক-চিনের ষড়যন্ত্র নিয়ে তোপ দেগেছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে এস ভাদোরিয়া। বলেছিলেন, "আমরা চিন-পাকিস্তানের যৌথ ষড়য়ন্ত্র সম্পর্কে জানি। সামরিক আমদানির জন্য এখন চিনের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল পাকিস্তান। এবং দুই দেশের সেনা যৌথ মহড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন