তাইওয়ানের সঙ্গে সংঘাত বাড়ছে চিনের। জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মিসাইল ছোড়ার ঘটনায় তাইওয়ানের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ আমেরিকাও। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন শুক্রবার এই হামলাকে গুরুত্বপূর্ণ সংঘাত হিসাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরই ফুঁসছে বেজিং। শুরু হয়েছে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া।
এবার পেলোসির সফর নিয়ে নিজেদের গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে চিন। শুক্রবার পেলোসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চিন। তবে কী নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা তা খোলসা করেনি বেজিং। এদিকে, চিনের সামরিক মহড়ার দিকে নজর রেখেছে তাইওয়ানের বিদেশ মন্ত্রক। পেলোসির সফর এবং তাইওয়ানের পাশে আমেরিকার থাকার বার্তা দেওয়ায় চিনের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছে।
বৃহস্পতিবার তাইওয়ান খাঁড়ি বরাবর যুদ্ধবিমান, রণতরী দিয়ে ঘিরে রেখেছে চিন। তাইওয়ান খাঁড়িতে আকাশে চক্কর কাটছে চিনা ফাইটার জেট। প্রায় ১০০-র বেশি বিমান, ফাইটার জেট, বোমারু বিমান, ১০টি রণতরী দিয়ে তাইওয়ান জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে চিনের সরকারি মিডিয়া সিসিটিভি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন সামরিক মহড়ার নামে তাইওয়ানে তাণ্ডব, আকাশে চিনের যুদ্ধবিমান, জলসীমায় রণতরী
পেলোসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেই ক্ষান্ত হয়নি বেজিং। আমেরিকার সঙ্গে বহু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, জলবায়ু সংক্রান্ত বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা বৈঠক বাতিল করেছে চিন। চিনের দাবি, স্বশাসিত দ্বীপে সফর করে এবং আমেরিকার হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলে চিনের অপমান করেছেন পেলোসি। পেলোসি চিনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন উস্কানি দিয়ে।