ইউক্রেন ইস্যুতে তারা রাশিয়ার পাশে নেই। নিরপেক্ষতার নামাবলি গায়ে চড়িয়ে পাশ থেকে সরে গেল দীর্ঘদিনের বন্ধুদেশ বলে পরিচিত চিন। বেজিং স্পষ্ট জানাল, তারা রাশিয়াকে কোনওরকম সাহায্য করছে না। আর করতেও নারাজ। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে তারা আগের মতই রাশিয়ার সমালোচনা করবে না। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে যুদ্ধ বলতেও নারাজ বেজিং। তাদের কাছে এটা স্রেফ 'দ্বন্দ্ব'।
ইতালির রোমে মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চিনের প্রতিনিধি। সেখানে তিনি বেজিংয়ের এই অবস্থানের কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। বেজিংয়ের দাবি, তাদের অবস্থান যুক্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ এবং গঠনমূলক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে অভিযোগ করেছিল, রাশিয়াকে সাহায্য করতে চলেছে চিন।
বর্তমানে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এতে তাদের বহু সামরিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। সেই জন্য চিনের থেকে অস্ত্র চেয়েছে রাশিয়া। আর চিন দিতে রাজি হয়েছে বলে দাবি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু, সেই দাবি তৎক্ষণাৎ খারিজ করেছিল বেজিং। রোমের বৈঠকেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে চিন জানিয়েছে, এমন কোনও সাহায্যই তারা রাশিয়াকে করছে না।
আরও পড়ুন- নয়াদিল্লির কূটনৈতিক জয়, পাকভূমে ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে ভারতের সুরই আমেরিকার গলায়
মঙ্গলবারই চিনে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস চাপুইস বেজিংয়ের কাছে নতুন আবদার জুড়েছেন। নিকোলাসের আবেদন, চিন এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন করুক। কিন্তু, সেটা যে তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, সেকথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চিনের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান।
আর, এক্ষেত্রে তারা নিরপেক্ষ অবস্থান বহাল রাখতে চান বলেই চিনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তোলা অভিযোগে তারা যে ক্ষুব্ধ, সেকথাও গোপন করেনি চিন। বেজিংয়ের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিথ্যা অভিযোগ করেছে। মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। চিনের বিরুদ্ধে বলার সময় অপেশাদার এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মনোভাব দেখিয়েছে।
রাশিয়াও অবশ্য ইতিমধ্যে চিন থেকে অস্ত্র আমদানির কথা অস্বীকার করেছে। এই কথা জানিয়ে বেজিংয়ের দাবি, তারা ইউক্রেনে শান্তি চায়। গোটা পরিস্থিতির জন্য তারা গভীরভাবে মর্মাহত। বর্তমানে রাশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে। সেই কারণে কোনও পক্ষের পাশেই দাঁড়াতে পারছে না বেজিং। ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক নষ্ট হোক, এটা চিন চায় না।
Read story in English