ফের দুবছর পর করোনা ঢেউ! আর তাতেই নাজেহাল অবস্থা চিনের। শুধু চিনেই নয়, করোনা চোখ রাঙাচ্ছে ইউরোপ থেকে এশিয়ার একাধিক দেশে। ফের লকডাউনের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্বের একাধিক দেশ। এর মাঝেই চিনের কোভিড পজিটিভ শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের মা বাবার থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। এর মাঝেই সাংহাইতে ২৬ মিলিয়ন বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন করার জন্য সামরিক বাহিনীর চিকিৎসক সহ এবং হাজার হাজার স্বাস্থ্যসেবা কর্মী পাঠিয়েছে চিনা প্রশাসন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, 'এটি সর্বকালের সর্ববৃহৎ জনস্বাস্থ্য প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি'। স্থানীয় এক সংবাদপত্র জানিয়েছে ইতিমধ্যেই ২ হাজারের বেশি চিকিৎসক সাংহাইতে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কথা বলে হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে মোট ১০ হাজারের বেশি চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীকে সাংহাইয়ে পাঠানো হয়েছে । উহানের থেকেও পরিস্থিতি সংকটজনক বলে জানিয়েছে চিনা প্রশাসন। সাংহাইতে গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউন কঠোর ভাবে কার্যকর করতে শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের তাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩ এপ্রিল সাংহাইতে ৮,৫৮১টি উপসর্গবিহীন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল থাকার সঙ্গে সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রাদুর্ভাব রোধ করার জন্য দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মহামারী প্রতিরোধে শহরকে "সংকল্প এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার" আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা গ্রাফে বড়সড় স্বস্তি, ৭১৫ দিন পর দেশে হাজারের নীচে নামল সংক্রমণ
ওমিক্রনের নয়া প্রজাতির দাপটে ত্রস্ত সাংহাই। হুহু করে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে শহর জুড়ে জারী করা হয়েছে গণ কোভিড পরীক্ষা। সাংহাই প্রশাসন বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে ইতিমধ্যে ৯০ লক্ষের বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে গোটা মাস জুড়েই জারী রাখা হবে কোভিড বিধিনিষেধ।
এদিকে লকডাউনের ফলে বানিজ্যনগরী সাংহাইতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে শহরের অর্থনীতি। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের ফলে বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সকালে-বিকেলে পোষ্যদের নিয়ে বেরনোও বারণ। বলা হয়েছে, একমাত্র কোভিড টেস্ট করানোর জন্যই বাইরে বেরনোর ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এমনকি আবাসনগুলির ভিতরেও আবাসিকদের ঘোরাঘুরি করতে বারণ করা হয়েছে।
Read full story in English