Advertisment

চিনে আজ থেকে শুরু গণ কোভিড পরীক্ষা, তালাবন্দী সাংহাই

চিনে এই মুহুর্তে টিকাদানের হার ৮৭ শতাংশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
here is a list of countries that are seeing a spike in corona infections

চিনে এই মুহুর্তে টিকাদানের হার ৮৭ শতাংশ।

ফের করোনার ঢেউ। আর, তাতে বেসামাল ইউরোপ থেকে এশিয়া। চিনের বেশ কিছু শহরে ইতিমধ্যেই লকডাউন চলছে। তারমধ্যে সাংহাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। বাধ্য হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ভারতে আগামী এপ্রিল থেকেই তুলে নেওয়া হচ্ছে বিধিনিষেধ। এর মাঝেই এশিয়া এবং ইউরোপের একাধিক দেশে বিএ.২ নতুন অমিক্রন প্রজাতির দাপটে নাজেহাল অবস্থা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে মিলেছে সাবধানবানী।

Advertisment

চিনের অবস্থা এখন সবচেয়ে খারাপ। চিনেই প্রথম করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। গতবছর মার্চের মধ্যেই সংক্রমণের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। কিন্তু, এখন অবস্থা এতটাই খারাপ যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে বাসিন্দাদের মানা করা হয়েছে। চিনের সবচেয়ে বড় ইস্পাত তৈরির শহর তাংশানে মঙ্গলবার থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। ১৯ মার্চ থেকে গণপরিবহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই শহরে। ২০ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে পরিবহণ নিয়ে কড়াকড়ি। সাংহাইয়ের স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করা হবে। বন্ধ থাকবে অফিস থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ সহ যাবতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে জানিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী টানা দু’সপ্তাহে নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এসবের মাঝে চিনের পরিস্থিতি রীতিমত উদ্বেগের। ওমিক্রনের নতুন প্রজাতির দাপটে নাজেহাল চিন। শুক্রবারই, চিনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা পরিস্থিতিটিকে “গুরুতর এবং জটিল” বলে অভিহিত করেছেন।

আরো পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে প্রকট হচ্ছে স্বাস্থ্য সংকট, সাবধান করল WHO

নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাড়ছে উদ্বেগ। চলতি মাসে চিনে মারণভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। চিনে এই মুহুর্তে টিকাদানের হার ৮৭ শতাংশ। স্থানীয় প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে ৬০ বা তাঁর বেশি প্রায় ৫২ মিলিয়নের বেশি মানুষ এখনও করোনা টিকা পাননি। একই সঙ্গে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৫৬.৪ শতাংশ। ৭০ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে টিকা পেয়েছেন মাত্র ৪৮.৪ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানও যথেষ্ট উদ্বেগে রাখছে স্থানীয় প্রশাসনকে।

 Read story in English

Advertisment