ওমিক্রনের (Omicron) নতুন ভ্যারিয়েন্টে কাঁপছে চিন (China)। পাশাপাশি ভয়ঙ্কর অবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার। ইতিমধ্যে চিনের ১৩টি শহরের ৩০ কোটি মানুষকে লকডাউনের আওতায় এনেছে বেজিং। পরিস্থিতি আরও বেশি উদ্বেগজনক দক্ষিণ কোরিয়ায় । বুধবার সেখানে নতুন করে ৪ লক্ষের বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত দু’বছরের মহামারী পরিস্থিতিতে রেকর্ড। মৃত্যুর ক্ষেত্রেও পিছনে পড়ে গিয়েছে পুরনো পরিসংখ্যা।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব থেকে বিদায় নেয়নি, করোনা মহামারী। কয়েক সপ্তাহ সংক্রমণ কমতে থাকার পর আবারও সংক্রমণের উচ্চ হার লক্ষ করা যাচ্ছে। এক টুইটার বার্তায় এমনই বললেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান খেরখোভ। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন রূপটি এখনও বিশ্বজুড়ে তীব্র পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ছে। সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছে ভিয়েতনাম, জার্মানি, চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়া। মাত্র এক সপ্তাহেই সংক্রমণ বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। যা রীতিমত উদ্বেগের বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সে দেশের প্রশাসনের। সেখানে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৪ লক্ষের বেশি মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড ২৯৩ জনের। মঙ্গলবার চিনে ৫২৮০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বুধবার সংক্রমণ কিছুটা কমে হয়েছে ৩২৯০। রবিবার থেকেই বিধিনিষেধের জালে কার্যত গৃহবন্দি বেজিংয়ের ১৭ কোটি মানুষ। কোভিডে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে ঝিলানেও। হুড়মুড় করে সংক্রমণ বাড়ছে চাংচুন শহরে। শহরের শপিংমলে, অফিসে, কলকারখানায় তালা ঝুলছে। এদিকে চিন থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ সেই নিয়ে ভারত উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেছে।