Advertisment

শীত মোকাবিলায় পূর্ব লাদাখে চিনা সেনাদের হাতে অত্য়াধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম

এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রবল শীতে বাহিনী যাতে যুঝতে পারে, সেজন্য় বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
india china standoff, ভারত চিন

ফাইল ছবি।

লাদাখে সংঘাত পর্ব যেন মিটছেই না। শীতে পূর্ব লাদাখে ইন্দো-চিন সীমান্তে মোতায়েন হাজার হাজার চিনা সেনাকে উন্নত মানের প্রযুক্তি সরঞ্জাম দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এদিন এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রবল শীতে বাহিনী যাতে যুঝতে পারে, সেজন্য় বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

Advertisment

অত্য়াধুনিক সরঞ্জামের মধ্য়ে রয়েছে স্লিপিং ব্য়াগ, ডাউন ট্রেনিং কোট, কোল্ড প্রুফ বুট। টাটকা ফল-সবজি নিয়ে যাওয়ার জন্য় আনম্য়ানড এরিয়াল ভেহিক্য়াল ব্য়বহার করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

এদিকে, প্রচন্ড ঠান্ডায় অধিক উচ্চতায় কীভাবে সেনা মোতায়েন করে রাখা যায় তা নিয়ে গত মে-জুন মাসেই বৈঠকে করেন ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। সেনার কমান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে একটি নীল নকশাও তৈরি করা হয়েছিল। সেইমতোই সেনা মোতায়েনের কাজ এগোচ্ছে। সরঞ্জাম ও রসদ যোগানের বিষয়টি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: সেনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে লাদাখ যেতে চায় সংসদীয় প্যানেল, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ‘না’

এতদিন সেন জওয়ানদের জন্য শীতের পোশাক ইউরোপ ও চিনের কাছ থেকেই কিনত ভারত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। অন্যদিকে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ পোক্ত হচ্ছে। সেই রেশ বজায় রেখেই আমেরিকার থেকে সেনাদের গরম পোশাক কিনছে ভারত। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার দ্বিতীয় শীর্ষ আধিকারিক এস কে সাইনি সরঞ্জাম ক্রয় নিয়ে মার্কিন প্যাসিফিক কমান্ডের সঙ্গে আলোচনা করতে সেখানে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাতেও আমেরিকার তৈরি শীত পোশাক পরে যুদ্ধ করতে পারবেন জাওয়ানরা। শুধু সামরিক অস্ত্র নয়, চিনা বাহিনীকে টক্কর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত উপযুক্ত বাহিনীও।

উল্লেখ্য়, মে মাসের শুরু থেকে তেতে রয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত। একাধিক বৈঠকের পরও রফা মেলেনি। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মধ্য়েই গত ১৫ জুন গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্য়ু হয়েছে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের। চিনের পক্ষেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মোদী সরকার। যদিও সে বিষয়ে সরাসরি কোনও তথ্য় দেয়নি বেজিং। এরপর গত ২৯ অগাস্টের পর আবারও নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায়। ৪৫ বছর পর সীমান্তে গুলি চালানোর খবর আসে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

International news
Advertisment