করোনা সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে। তার জেরে ফের লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে চিন। যার ফলে ব্যবসা ফের মার খেতে শুরু করেছে। লকডাউনের নাগপাশ থেকে চিন মুক্ত পেয়েছে, খুব বেশিদিন একটা হয়নি। তার মধ্যেই ফের লকডাউনের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাসীন এই দেশ।
মঙ্গলবার চিনের বিভিন্ন বন্দরেও এত কড়াকড়ি ছিল যে ব্যবসা-বাণিজ্য শিকেয় উঠেছে। যানবাহনের কারখানা থেকে ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের কারখানাগুলো সরকারি নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সব কারখানার অনেকগুলোরই ব্যবসা আবার বিশ্বজোড়া। এমনকী, ভারতেও এই সব কারখানা থেকে বহু পণ্য আসে। কিন্তু, করোনা ফের নতুন করে ছড়াতেই বহু বিদেশি সংস্থা চিন থেকে মালপত্র নিতে ভয় পাচ্ছে। কারণ, এভাবেই অতীতে করোনা চিন থেকে অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
এভাবে ব্যবসা মার খাওয়ায় চিন এবং হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে ধস নেমেছে। চিনের রাস্তায় যানচলাচল প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। চিনের দাবি, হংকং-এ করোনা আরও বেশিমাত্রায় ছড়িয়েছে। জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর বেজিং। তবে, উত্পাদন মার খেলেও একদিক থেকে লাভবান হচ্ছে চিন।
সেটা লাভবান হচ্ছে ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে। রাশিয়া লাগাতার হামলা চালানোয় ইউক্রেন এখন বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া থেকে কাঁচামাল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানি করতে পারছে না বেজিং। সেই জন্য তাদের উত্পাদন এমনিতেই মার খেত। করোনা পরিস্থিতি লকডাউনের পথে হাঁটতে বাধ্য করায় সেই আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে পেরেছে বেজিং।
আরও পড়ুন- পার্লামেন্টে হামলায় বেকসুর খালাস আলভি, কুরেশি ও তাদের সঙ্গীরা
এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কার্ল বি ওয়েনবার্গের মত অর্থ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরমাণু যুদ্ধ শুরু না-হলে বিশ্বের আপাতত বড় কোনও ভয় নেই। একমাত্র ভয় শুধু করোনা। মঙ্গলবার চিনে দৈনিক করোনা সংক্রমিতর সংখ্যা ৩,৫০৭। তার এক তৃতীয়াংশই আবার জিলিন প্রদেশের ঘটনা। হংকং-এ আবার সোমবারই দৈনিক করোনা সংক্রমিতর সংখ্যা ছিল ২৬,৯০৮।
Read story in English