Afghanisthan Update: সৈন্য-সামন্ত, লোক-লস্কর-সহ ৩১ অগাস্টের মধ্যে আমেরিকাকে আফগানিস্তান ছাড়তেই হবে। সেই মোতাবেক চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবানরা। কিন্তু ৭ দিনের মধ্যে সব নিরাপদে গুটিয়ে ওয়াশিংটন ফেরা একেবারেই অসম্ভব। এমনটাই মনে করছে পেন্টাগন। এই আবহে তালিবানের শীর্ষ এক নেতার সঙ্গে সিআইএ প্রধানের বৈঠক অন্য জল্পনা উসকে দিয়েছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে এমনটাই খবর। যদিও এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা।
তবে মার্কিন এক সংবাদপত্র দাবি করেছে, মঙ্গলবার বৈঠক করেন সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস এবং তালিবান নেতা আবদুল গনি বরাদর। সোমবার কাবুল পৌঁছেছেন বার্নস। সংবাদপত্রের সেই রিপোর্টকে নাকচ করে সিআইএ-র মন্তব্য, ‘সংস্থা প্রধান কোথায় কখন যান, সেটা ক্লাসিফায়েড।‘
এদিকে, সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা নিয়ে হোয়াইট হাউজ এবং তালিবানের টানাপোড়েনের মধ্যে বার্নস-বরাদর বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ জরুরি ভিত্তিতে ডাকা চলতি জি-৭ বৈঠকে আফগানিস্তান পরিস্থিতির দায় ওয়াশিংটনের উপর চাপান হয়েছে। পশ্চিম এশিয়া এবং দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ায় স্থিতাবস্থা জারি রাখতে তৎপর জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। এই আবহেই পশ্চিমী দেশগুলোর উপর চাপ বাড়ালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রধান। নারী স্বাধীনতা খর্ব এবং তালিবানি হত্যা লীলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এদিন তিনি বিবৃতি দিয়েছেন।
তাতে আরও চাপ বেড়েছে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর। তাই মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বাড়ানোর দর কষতেই বরাদরের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সিাআইএ প্রধান। এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন