কয়েকদিন আগেই ঘরোয়া বিবাদের জেরে সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। শুক্রবার দেশের প্রধান বিচারপতি চোলেন্দ্র সামশের রানার নেতৃত্বে সাংবিধানিক বেঞ্চে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সেই আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা পিটিশনের শুনানি হবে। পাঁচ সদস্যের সেই বেঞ্চ শুনানির পর ২৭৫ আসন বিশিষ্ট সংসদ ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে রায় দেবে।
গত বুধবার প্রধান বিচারপতির কাছে জমা পড়া পিটিশন সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। বরিষ্ঠ আইনজীবীরা সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে সওয়াল করেন, যতক্ষণ বিকল্প সরকার গঠনের রাস্তা খোলা রয়েছে ততক্ষণ প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভেঙে দেওয়ার অধিকার নেই। এদিকে, ওলি এদিন সন্ধেয় মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক ডেকেছেন। সম্ভবত সেই বৈঠকেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে পারেন। কারণ, শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ডর ঘনিষ্ঠ সাত মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। বর্তমানে ওলি শিবিরের ১৮ জন মন্ত্রিসভার সদস্য।
আরও পড়ুন ঘরোয়া বিবাদ তুঙ্গে, সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব নেপালের প্রধানমন্ত্রীর
গত বৃহস্পতিবারই প্রচণ্ড প্রধানমন্ত্রী ওলিকে দলের সংসদীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এরপর তিনি চিনের দূতের সঙ্গে দেখা করে দাবি করেন, দলের নিয়ন্ত্রণ এখন তাঁর হাতে। ওইদিনই আবার কেন্দ্রীয় কমিটির ঘনিষ্ঠ সদস্যদের কাছে ওলি প্রচণ্ডকে পার্টির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। দলের দুই নেতার বিবাদের জেরে নেপাল সরকারে এখন অচলাবস্থা। যার জেরে সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন