চিনে ফের করোনা ভাইরাসের চোখ রাঙানি বাড়ছে। দেশটির একাধিক শহর থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর মিলছে। সম্প্রতি চিনের অন্তত ১৯টি প্রদেশে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ রুখতে মরিয়া বেজিং। জিরো টলারেন্সের পদক্ষেপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৯০ লাখ বাসিন্দার শহর চাংচুনে লকডাউন জারি করে হয়েছে। সাংহাইতে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল। কিন্তু তাতেও স্বস্তি নেই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় চিনে কোভিড সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়েছে।
চিনা জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩,৫০৭ জন। তার আগের দিন দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৩৩৭ জন।
জানা গিয়েছে, চিনে বর্তমানে 'স্টেল্থ ওমিক্রন' ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। যা ইতিমধ্যেই তাদের জিরো টলারেন্স নীতিতে পরীক্ষার সম্মুখীন করেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির এই প্রবণতা দু'বছর আগে মহামারির শুরুর পরিস্থিতির কথা মনে করাচ্ছে। যা ঘিরে চিনে ফের আতঙ্কেরমেঘ দানা বেঁধেছে। চলতি মার্চের প্রথম দু'সপ্তাহেই চিনে নতুন করে কোভিড সংক্রমিথের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। যা আগের তুলনায় অনেক বেশি।
নতুনভাবে সংক্রমণ মাথাচাড়া দিলেও এখনও পর্যন্ত চিনে করোনায় মৃত্যুর খবর মেলেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের নানা দেশে এখনও করোনা সংক্রমণের হার অনেক বেশি। সেই তুলনায় চিনের সংখ্যা কম। গত সপ্তাহেই ব্রিটেনে সংক্রমণের পরিসখ্যান ছিল ৪৪৪,০০০ জন। সোমবার আংশিক স্বায়ত্ত্বশাসিত হংকং-য়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬,৯০৮ জন।
চিনের নতুন সংক্রমণের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই হচ্ছে উত্তর-পূর্বের প্রদেশ জিলিংয়ে। এই শহরে গত ২৪ ঘন্টায় ২,৬০১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এছাড়া, বেইজিং এবং সাংহাইত সহ ১৯ প্রদেশ করোনার প্রাদুর্ভাব লক্ষ্যনীয়। জেলিং থেকে অন্য শহরে সেখানকার বাসিন্দাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
সংক্রমণের রেশ বাড়ায় এক হাজার স্বাস্থ্য কর্মীকে অন্যান্য প্রদেশ থেকে জেলিংয়ে পাঠানো হয়েছে ও সাত হাজার সামরিক কর্মীকেও সংরক্ষিত রাখা রয়েছে।
Read in English