বিশ্ব জুড়ে অতিমারী সৃষ্টি হয়েছে করোনা ভাইরাসের দাপটে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ উহান প্রদেশের জৈব গবেষণাগারকে দায়ী করেছে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে। বিশ্বজুড়ে কেবল সমালোচনা নয়, প্রবল নিন্দার মুখে পড়তে শিন জিনপিংয়ের দেশকে। এহেন পরিস্থিতিতে আরও 'বায়ো ল্যাব' বা জৈব গবেষণাগার প্রস্তুতির কথা জানান হল।
যদিও এবার নিয়মে আর কোনও ফাঁকফোকর রাখতে চাইছে না চিন। সে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী শিয়াং লিবিন জানিয়েছেন, দেশের জৈব নিরাপত্তা আইনে (Biosecurity Law) পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই নতুন আইনের আওতায় আরও বেশি জৈব গবেষণাগার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
সরকার পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, চিন ভবিষ্যতে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে তার জৈব নিরাপত্তা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে বড় ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা করবে এই গবেষণাগারগুলিতে। বর্তমানে তিনটি বায়ো-সেফটি লেবেল ৪ ও ৮৮টি বায়ো-সেফটি লেবেল ৩ গবেষণাগার তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন, বায়ুবাহিত করোনার শক্তি বেশি! আরও সাবধান হওয়ার আর্জি গবেষকদের
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল সম্প্রতি চিনের উহান প্রদেশ থেক কীভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে তা খতিয়ে পরিদর্শন করতে আসে। সেখানে বলা হয়েছিল এই বায়ো ল্যাব থেকেই কোভিড-১৯ ভাইরাস বাতাসে মিশে থাকতে পারে। উহানে গবেষণা চালাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একটি বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, এখানকার কোনও গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন