হাতে সময় বেশি নেই। মরশুম শেষ হতে আর বাকি মাত্র কয়েকদিন। এই অবস্থায় শৃঙ্গজয়ের নেশায় বুঁদ পর্বতারোহীরা পাত্তাই দিচ্ছেন না করোনা সংক্রমণকে। গত বছর অতিমারীর কারণে অভিযান বন্ধ থাকার পর চলতি বছর এভারেস্টের দরজা খুলে দিয়েছে নেপাল। কিন্তু বেস ক্যাম্পে নাগাড়ে সংক্রমিত হচ্ছেন অভিযাত্রীরা। কিন্তু ওই যে, শৃঙ্গজয়ের অদম্য নেশা! আর তাতেই মগ্ন হয়ে দ্রুত অভিযান শেষ করতে চাইছেন দেশ-বিদেশের অভিযাত্রীরা।
চলতি মাসেই তিনটি অভিযাত্রী দল সংক্রমণের আতঙ্কে অভিযান বাতিল করেছে। কিন্তু বাকি ৪১টি দল কয়েকশো অভিযাত্রীর জীবনের ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। মে মাস শেষ হওয়ার আগেই অভিযান সম্পূর্ণ করতে চান গাইডরা। কারণ এরপরেই পাহাড়ে খারাপ আবহাওয়া শুরু হবে। মরশুমও শেষ করে দেবে প্রশাসন। তাই সংক্রমণকে পাত্তা না দিয়ে শৃঙ্গজয়ের নেশায় পাহাড়চূড়ার দিকে আগুয়ান অভিযাত্রীরা।
আরও পড়ুন একশোরও বেশি পজিটিভ! এভারেস্টে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, মানতে নারাজ নেপাল
বেস ক্যাম্প পর্যন্ত সংক্রমণের ঢেউ পৌঁছে গিয়েছে। তবে পার্বত্য এলাকায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন সেভেন সামিট ট্রেকের মিংগমা শেরপা। তিনি এভারেস্টে রেকর্ড সংখ্যক অভিযান গাইড করেছেন। তাঁর দাবি, যেরকম গুজব ছড়াচ্ছে সেরকমভাবে কেউ এখনও অসুস্থ হননি বা কারও মৃত্যু হয়নি। এই সংস্থার ১০টি দলের ১২২ জন পর্বতারোহী এখনও কোনওরকম অসুস্থতার মধ্যে পড়েননি বলে দাবি।
আরও পড়ুন মাত্র ২৫.৫০ ঘন্টায় এভারেস্টের চূড়ায়! দ্রুততম কীর্তি গড়ে বিশ্বে আলোড়ন হংকংয়ের মহিলার
নেপাল সরকারের আধিকারিকরাও এভারেস্টে করোনা সংক্রমণের কথা মানতে নারাজ। বেস ক্যাম্পে এ নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে বলে তাঁদের ধারণা। গত বছর পুরো মরশুমে অভিযান বন্ধ থাকায় নেপালের প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাই এবছর সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে কোনও কসুর রাখছে না পার্বত্য দেশ। এমনকী এভারেস্টে সংক্রমণের কথা মানতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন