করোনা থেকে যেন মুক্তি নেই বিশ্বের। চলতি বছরের শুরুতে সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমলেও ফের আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তাতেই বেসামাল বিশ্বের একাধিক দেশ। ভারতেই দৈনিক সংক্রমণ দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে টানা তিনদিন। যদিও কোভিড ভ্যাকসিনের ৭৮ কোটি ডোজ গোটা দুনিয়ায় সরবরাহ হয়েছে। কিন্তু করোনা অতিমারী মুক্ত বিশ্ব পেতে এখনও অনেক সময় বাকি, বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা WHO-এর প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রেইসুস।
গত ২০১৯ সালে চিনের ইউহান শহর থেকে প্রথম ছড়ানোর পর করোনাভাইরাস গোটা দুনিয়ার কাছে ত্রাস হয়ে গিয়েছে। ১৩ কোটি ৬৫ লক্ষ ৪০০-রও বেশি মানুষ আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ২৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ জনের। WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলেছেন, "এবছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে টানা ছয় সপ্তাহ নিম্নমুখী ছিল সংক্রমণ। কিন্তু তারপর টানা সাত সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের পরিসংখ্যান, সেইসঙ্গে টানা চার সপ্তাহ মৃত্যুহারও বেড়েছে।"
তিনি আরও বলেছেন, "গত সপ্তাহে চতুর্থ সর্বাধিক সংক্রমণের কেস সামনে এসেছে। এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশে সংক্রমণ ঊদ্বেগজনক আকার ধারণ করেছে।" WHO-এর সদর দফতর জেনেভায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ৭৮ কোটি টিকার ডোজ যথাযথ ভাবে প্রয়োগ হয়েছে গোটা বিশ্বে। টিকা অতিমারী মোকাবিলায় শক্তিশালী হাতিয়ার, কিন্তু একমাত্র হাতিয়ার নয়। তার সঙ্গে শারীরিক দূরত্ব, মাস্ক পরা, হাত পরিচ্ছন্ন রাখা, ভেন্টিলেশন, পর্যবেক্ষণ, টেস্টিং, ট্রেসিং, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন এবং যথাযথ যত্ন- প্রাণ বাঁচাতে এসবও প্রয়োজন।