Advertisment

বিশ্বের একাধিক দেশে টিকার বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসংঘ প্রধান

তিনি প্রতিটি দেশের সরকার এবং ওষুধ সংস্থাগুলির কাছে আবেদন করেন টিকাহীন মানুষদের দ্রুত টিকা দানের কাজ সম্পন্ন করার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

করোনা ভাইরাস নিয়ে ফের একবার এশিয়া সহ বিশ্বকে সতর্ক করল রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

করোনা ভাইরাস নিয়ে ফের একবার এশিয়া সহ বিশ্বকে সতর্ক করল রাষ্ট্র সংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এক ভাষণে তিনি বলেন, "প্রতি চার মাস অন্তর বিশ্ব করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতির হুমকির মুখে পড়েছে"। তিনি সতর্ক করে বলেছেন 'এশিয়া সহ বিশ্বের একাধিক দেশে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। অনেক দেশেই আবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তা হলে আরও এক ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে'। একই সঙ্গে তিনি প্রতিটি দেশের সরকার এবং ওষুধ সংস্থাগুলির কাছে আবেদন করেন 'টিকাহীন মানুষদের দ্রুত টিকা দানের কাজ সম্পন্ন করার'।

Advertisment

GAVI COVAX অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট সামিট ২০২২ এ বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, “আমরা এখনও বিশ্বে প্রতিদিন ১.৫ মিলিয়নের বেশি কোভিড ১৯ আক্রান্তের খবর পাচ্ছি। সেই সঙ্গে নতুন এক ঢেউ ইউরোপ জুড়েই ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু দেশ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে বর্তমানে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রিপোর্ট করছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে’। এর পাশাপাশি তিনি বলেন করোনা ভাইরাস নতুন এক একটি রুপ নিয়ে আমাদের চমক দিচ্ছে। তার আক্ষেপ কিছু দেশ যখন দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে তখন বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ এখনও কোভিড টিকার দুটি ডোজ পাননি। এই বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য তিনি বিশ্বের উন্নত দেশ গুলিকে দরিদ্র দেশ গুলির পাশে এগিয়ে এসে কাজ করার আবেদনও জানান।

আরও পড়ুন: ইমরানের খেলা শেষ, বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের সাফল্যে ম্লান রাজনীতিবিদ ‘কাপ্তান’

তিনি তার বিবৃতিতে বলেন, “এটা আক্ষেপের আজ প্রায় দু বছর অতিক্রান্ত তাও এখন বিশ্বের অনেক দেশেই যোগ্য জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দানের কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি”। সেই সঙ্গে সদ্য রিপোর্ট করা XE ভ্যারিয়েন্ট নিয়েও তিনি দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ওমিক্রনের চেয়েও ১০ গুণের বেশি সংক্রামক এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে টিকাই আমাদের কাছে একমাত্র হাতিয়ার। অথচ এই টিকাদানের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

যদিও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই জানিয়েছে বেশ কিছুদিন সংক্রমণ কম থাকার পর আমার চলতি বছরের মার্চ থেকে সংক্রমণ বিশ্বের একাধিক দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই চিনের সাংহাইতে লকডাউনের কবলে প্রায় ২৬ মিলিয়ন বাসিন্দা। সেদেশে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। অবস্থা এমনই সে দেশের প্রশাসন জানিয়েছেন উহানের থেকেও বিপদের মুখে রয়েছে সাংহাই। সেই সঙ্গে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগে প্রশাসন। হু’র তথ্য অনুসারে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। 

 Read in English

UN chief
Advertisment