বারবার করে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছিলেন, ওমিক্রনই করোনার শেষ রূপ নয়। করোনা-১৯ ভাইরাস রূপ বদল করছে। যা দেখে মনে হচ্ছে, নতুন চেহারায় সংক্রমণ ছড়াতে পারে করোনা। গোটা বিশ্বে সেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের সেই আশঙ্কা অবশেষে সত্যি হল।
এবার ইজরায়েলে পাওয়া গেল করোনার নতুন প্রজাতির সন্ধান। করোনার এই দুই নতুন প্রজাতি হল বিএ.১ এবং বিএ.২। একথা জানিয়েছে ইজরায়েলের স্বাস্থ্য দফতর। টুইটে ইজরায়েলের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বেন গুরিওন বিমানবন্দরে যাত্রীদের আরটিপিসিআর টেস্ট চলছিল। তখনই করোনার এই নতুন দুই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
আক্রান্তদের খুব বেশি সমস্যা ছিল না। সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা আর পেশির ব্যথায় তাঁরা ভুগছিলেন। সেই কারণে ওই ব্যক্তিদের পরীক্ষা করা হয়। প্রাথমিক ভাবে ইজরায়েলের স্বাস্থ্য দফতর মনে করছেন, নতুন এই দুই প্রজাতি আসলে ওমিক্রনেরই সংস্করণ। আর, সেই জন্য ওই রোগীদের নিয়ে বিশেষ ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
তবে, ওই রোগীদের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তাদের থেকে যাতে আর কারও সংক্রমণ না-ছড়ায়, সেদিকেও তাঁরা নজর রাখছেন বলেই জানিয়েছে ইজরায়েলের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তেল আভিভে করোনা বিভাগের মুখ্য আধিকারিক সলমন জারকা জানিয়েছেন, ওই রোগীদের অবস্থা স্থিতিশীল। দুই আক্রান্তের একজনেরও অবস্থা গুরুতর নয়। তাই ভয়ের কোনও কারণ নেই।
তবে, ইজরায়েল করোনার নতুন সংক্রমণের খোঁজ পাওয়ার দাবি করলেও, সেই নিয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু'। ইজরায়েল যখন করোনার নতুন প্রজাতি পাওয়ার দাবি করছে, তখন 'হু' কেন কিছু বলছে না ? 'হু' কর্তাদের কি ইজরায়েলের দাবি নিয়ে কোনও সন্দেহ আছে ? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কি মনে করছে এটা আসলে ওমিক্রনই। ইজরায়েল তাকে কেবল নতুন প্রজাতি বলে ভাবছে ?
এই সব ধন্দ মেটাতে মুখ খুলেছেন ইজরায়েলের স্বাস্থ্য দফতরের মহানির্দেশক নাচম্যান অ্যাশ। তাঁর দাবি, বর্তমানে বাকি বিশ্বের কাছে এই প্রজাতি একদম অজানা। সদ্য এটা ইজরায়েলে পাওয়া গেছে। মনে করা হচ্ছে, আক্রান্তরা প্লেনে ওঠার কয়েক ঘণ্টা আগে করোনার এই নতুন প্রজাতি তাঁদের দেহে সংক্রমণ ঘটিয়েছে। সেই কারণে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আধিকারিকদের বিষয়টি জানার কথা নয় বলেই ইজরায়েলের স্বাস্থ্য দফতরের মহানির্দেশক জানিয়েছেন।
Read story in English