ছোট ভাই গোটাবায়া আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়বেন না। এবার বড় ভাই মহিন্দাও জানিয়ে দিলেন, তিনি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়বেন না। ঋণ-জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা তাঁরাই সামলাবেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেবেন বলেই দুই ভাইয়ের দাবি।
তার মধ্যেই শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলগুলো মহিন্দার পদত্যাগ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে। যদিও মহিন্দা রাজাপক্ষ শনিবার জানান, এমন কোনও দাবির কথা তাঁর কানে আসেনি। আর, যদি তেমনটাও হয়, তবে তিনিই সেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন। যেমন, এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সামলাচ্ছেন, ঠিক তেমন ভাবেই।
তবে, শ্রীলঙ্কার জনসাধারণের অনেকেই অবশ্য রাজাপক্ষদের সঙ্গে নেই। প্রতিদিনই পথে প্রতিবাদীদের সংখ্যা বাড়ছে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় জড় হচ্ছেন, মিছিল করছেন। রাজাপক্ষদের সিংহাসন থেকে টেনে নামানোর দাবিতে দ্বীপরাষ্ট্রের রাজপথে স্লোগান তুলছেন। গোটাটাই শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতির কারণে। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী শ্রীলঙ্কা সরকার আমদানি করতে পারছে না। তার দাম এখন আকাশছোঁয়া। দ্বীপরাষ্ট্রে জ্বালানি, বিদ্যুতের জোগান আর ওষুধ প্রায় অমিল।
আরও পড়ুন- ধারাবাহিক জঙ্গিহানায় উত্তপ্ত আফগানিস্তান, পাক সেনার ওপরও আফগান জঙ্গিদের হামলা, হতাহত বহু
তার মধ্যে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাত্কারে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী শনিবার বলেন, 'হাজাররকম নীতি, মানুষ যখন সরাসরি দেখতেই পাবে না, তখন অন্তর্বর্তী সরকার কী কাজে লাগবে। অন্তর্বর্তী সরকার গড়তে গেলে, চুক্তি করতে হবে, যা সম্ভব নয়। যদি কোনও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দরকার হয়, তবে আমার নেতৃত্বেই হবে।' বছর ৭৭-এর মহিন্দা রাজাপক্ষ বলেন, 'এই আর্থিক সমস্যা মোকাবিলা করতে গেলে মানুষকে ধৈর্য রাখতে হবে। যদি তাঁরা কথা বলতে না-চায়, বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে পারে।'
গালে ফেস এলাকায় যে লোকজন প্রতিদিন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের কী বলবেন? মহিন্দা রাজাপক্ষর দাবি, 'যাঁরা আলোচনা চান না, তাঁরাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের কথা বলা উচিত। সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। বিক্ষোভকারীরা যদি চান, আমার টেম্পল ট্রিস (প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের নাম) তাঁদের জন্য সবসময় খোলা আছে। যখন খুশি আসতে পারেন। আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।'
Read story in English