আর তিন দিন পরেই ঠিক হয়ে যাবে হোয়াইট হাউসের মসনদে কে বসবেন। বিডেন হবেন নয়া প্রেসিডেন্ট নাকি ট্রাম্পই ফিরতে চলেছেন তা ৩ নভেম্বরই জানা যাবে। তাই শেষমুহূর্তের প্রচারে কোনও পক্ষই খামতি রাখছেন না। তবে ফ্লোরিডা রাজ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারসভা সবার বজর কেড়েছে। বিতর্কও তৈরি হয়েছে। দূরত্ববিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সভায় জনস্রোত নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গোটা ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান বাড়ছে। তার মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে আর নির্বাচনী সভায় বাঁধভাঙা ভিড় দেখে সংক্রমণ সুনামির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
প্রত্যেক সভায় করোনা অতিমারী মোকাবিলা নিয়ে সাফল্যের দাবি করছেন ট্রাম্প। সবাইকে বলছেন, সংক্রমিত হলে চিন্তা নেই, প্রত্যেকে ঠিক হয়ে যাবেন। যেমনটা তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যদিও বড় জমায়েত সর্বত্র অনুমোদিত নয়, তবুও ট্রাম্প বড় জনসভা করেই যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিয়ম ভাঙছেন। অনেকেরই মুখে মাস্ক, শারীরিক দূরত্ববিধির বালাই দেখা যাচ্ছে না। আগেই ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বিডেন এই সভাগুলিকে সুপার স্প্রেডার বলে কটাক্ষ করেছেন। বরং তিনি নিজে কম জনসভা করেছেন, ভার্চুয়াল সভা এবং ড্রাইভ-ইন কর্মসূচির উপর জোর দিয়েছেন। যেখানে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে হর্ন বাজিয়ে জনতা নিজেদের সমর্থন জাহির করছেন।
রাজ্যভিত্তিক নির্বাচনগুলিতে দেখা গিয়েছে, বিডেন ট্রাম্পের থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। রিপাবলিকানদের সমর্থনকারী রাজ্যগুলিতেও ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বিডেনের। কোথাও কোথাও আবার খু কম মার্জিনেও এগিয়ে রয়েছেন বিডেন। কিন্তু এমন চিত্র দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালের নির্বাচনে। যখন হিলারি ক্লিন্টন রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্পের তুলনায়। কিন্তু ফলাফলে দেখা যায়, ট্রাম্পই বাজিমাত করেছে। এবারও হাওয়া কি সেদিকেই? অনেক কিছুই এখনও পরিষ্কার নয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন