মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর প্রাচীনতম গণতান্ত্রিক দেশ। আর সেই বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গণতন্ত্রের কালো দিন হয়ে থাকল ৬ জানুয়ারি। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলা ও তাণ্ডবে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি মার্কিন সংসদ ভবন ক্যাপিটল হিল। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ, গুলি বিনিময়ে চারজনের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ন্যাশনাল গার্ড নামাতে হয়। ঘটানার ২৪ ঘণ্টা পর ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনার নিন্দা করে ভিডিও বার্তা দেন ট্রাম্প। সেইসঙ্গে জানান, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে একটি ভিডিও বার্তা টুইট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলেছেন, "যে বিক্ষোভকারীরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালিয়েছে তারা আমেরিকার গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছে। যারা হিংসা-তাণ্ডব চালিয়েছে তারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না। যারা আইন ভেঙেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।" এই ভিডিও বার্তা পোস্ট করার আগে মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা. হোয়াইট হাউসের প্রতিনিধিরা, ব্যবসায়ী মহল থেকে শুরু করে এমনকী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সম্পাদকীয়তেও ট্রাম্পের অপসারণের দাবি জোরদার হয়েছে। হামলায় উস্কানি দেওয়ার প্রত্যক্ষ অভিযোগে তাঁকে দ্রুত রাষ্ট্রপতি পদ থেকে উৎখাত করার জন্য মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরাও বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন হার স্বীকার করলেন ট্রাম্প, ২০ জানুয়ারি বাইডেনের হাতে তুলে দেবেন সমস্ত ক্ষমতা
কীভাবে এই তাণ্ডবের সূত্রপাত হল? বুধবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অনুগামীদের উদ্দেশে ট্রাম্পের বার্তা ছিল, চুরি আটকাও! ব্যস, এরপরই মার্কিন সেনেটে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের গণনার নিরিখে বাইডেনকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতির ঘোষণার সময়ই ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে, ভবনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে ট্রাম্পের অনুগামীরা। সেইসময় ফের ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে সমর্থকদের হিংসায় উস্কানি দেন ট্রাম্প। নিজের ভুল বুঝতে পেরে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন। আর জানান, বাইডেনকে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন