মোদী জমানায় কেন্দ্রের বিদেশনীতির ব্যর্থতায় পাকিস্তান ও চিনের সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। বুধবারই লোকসভায় এই অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তবে সেই অভিযোগ মানতে নারাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, তাঁরা রাহুল গান্ধির মন্তব্যকে সমর্থন করেন না। এই ব্যাপারে সাংবাদিকরা মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্রকে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে প্রাইস বলেন, 'দু'দেশের সম্পর্ক কেমন এই বিষয়টা বলার ভার আমি পাকিস্তান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।'
পালটা সাংবাদিকরা প্রাইসকে প্রশ্ন করেন,'আমেরিকা মুখ ফেরানোতেই কি চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে পাকিস্তানের?' জবাবে, দ্বিমেরু বিশ্ব রাজনীতির জল্পনা উড়িয়ে দেন মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র। তিনি বলেন, 'হয় চিন। নতুবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের কোনও দেশেরই এমনভাবে ভাবার দরকার নেই। এটা আমরা আগেই জানিয়ে দিয়েছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও দেশ কেমন সম্পর্ক রাখবে, সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার।'
প্রাইস জানান, পাকিস্তান আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার। ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে সেই সম্পর্কের মর্যাদাও দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র আরও জানান, তাঁরা দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বে বিশ্বাসী। বিভিন্ন দেশ তা থেকে উপকৃতও হয়েছে। আর চিন যেটা চাইছে, তা হল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদি অংশীদারিত্ব বা বন্ধুত্ব। তাতে অংশীদার দেশের কোনও লাভ হবে না-বলেই তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন ‘রাজা কারও কথা শোনেন না’, লোকসভায় মোদীকে কটাক্ষ রাহুলের
পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে প্রাইস সুর চড়ালেও, গত কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান এবং চিনের সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক দৃঢ় হয়েছে। যার উদাহরণ হল, পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের গদর বন্দরে চিনের কয়েকশো কোটি ডলার বিনিয়োগ। শুধু তাই না, আফগানিস্তানে তালিবান শাসন নতুন করে কায়েম হওয়ার পর বিশ্বের যে হাতেগোনা কয়েকটি দেশ তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে, তার অন্যতম হল চিন এবং পাকিস্তান। এক্ষেত্রে মদতদাতা পাকিস্তানকে খুশি করতেই চিন যে আফগানিস্তানের তালিবান শাসকদের স্বীকৃতি দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।