Nepal Government: নেপালে নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল পুড়িয়ে প্রতিবাদ। আর তাতেই নাগরিকদের সংযত হওয়ার বার্তা দিল সে দেশের সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে নেপালের নাগরিকদের বলা, ‘এমন কোনও অপ্রীতিকর আচরণ করবেন না যাতে বন্ধু দেশের মর্যাদাহানি হয়। ভারত-বিরোধী স্লোগান, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এবং প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ বন্ধু পড়শি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই অবিলম্বে এই ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকুন।‘
গত জুলাইয়ে মহাকাল নদী পেরোতে গিয়ে নেপালের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনায় ভারত সরকারকে দায়ী করে ইতিমধ্যে আন্দোলনে নেমেছে নেপালের শাসক ও বিরোধী শিবিরের ছাত্র-যুব সংগঠন। চলছে ভারত-বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।
তারপরেই কড়া বিবৃতি দিয়ে নেপাল সরকার জানিয়েছে, ‘প্রত্যেকটি বন্ধুত্ব দেশের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক চায় নেপাল। তাই এমন কোনও আচরণকে দেশের সরকার সমর্থন করবে না যা জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন করবে। তাই আমাদের অনুরোধ এমন কোনও অপ্রীতিকর আচরণ করবেন না, যাতে বন্ধু রাষ্ট্রের সম্মান ও মর্যাদাহানি হয়।‘
দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানে নেপাল বরাবর আলোচনা এবং কূটনৈতিক পথ অনুসরণ করেছে। তাই আগামি দিনেও আলোচনা এবং কূটনৈতিক পথেই দ্বিপাক্ষিকস্তরে সমস্যা সমাধান করা হবে। এমনটাই সেই বিবৃতিতে উল্লেখ।
শুধু এখানেই শেষ নয়। সেই বিবৃতিতে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে উল্লেখ, ‘এরপরেও যারা প্রতিবাদ-আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।‘
সশস্ত্র সীমা বলের উপস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে রোপওয়ে থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন নেপালের ধরচুলা জেলার যুবক জয় সিং ধামি। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অবৈধ ভাবে রোপওয়ে চেপে নেপালের ধরচুলা থেকে উত্তরাখন্ডের পিথরগড়ে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন ওই যুবক। তারপর থেকেই ভারত-বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল পড়শি দেশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন